বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০১৭, ১৯:০০ | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০১৭, ১৮:০১

কানাডায় অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে দেশটির হাইকমিশনার বেনেট পিয়েরে লরামি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিদায়ী সাক্ষাতে গেলে তিনি এই দাবি জানান।

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বিদায়ী সাক্ষাতে যান কানাডার হাইকমিশনার। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ইহসানুল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার হাইকমিশনারকে বলেন, একজন খুনি কানাডায় আছে। নূর চৌধুরী। তাকে ফিরত পাঠান।’

‘জবাবে বেনেট পিয়েরে লরামি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আপনার অনুরোধ পৌঁছে দেব।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগ। এরও ১৪ বছর পর ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ফাঁসি কার্যকর হয় পাঁচ জনের।

উচ্চ আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল মোট ১২ জনকে। দণ্ড কার্যকর হওয়া পাঁচ জন বাদে বাকিদের মধ্যে আজিজ পাশা মারা গেছেন বিদেশে। আর আবদুর রশিদ, মোসলেম উদ্দিন, শরীফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী, নুর চৌধুরী এবং আবদুল মাজেদের মধ্যে কানাডায় রাশেদ চৌধুরীর অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত।কিন্তু দেশটি মৃত্যুদণ্ডবিরোধী হওয়ায় তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডে দেশের বাইরে থাকায় ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাকে ছাড়া পরিবারের সকল সদস্যকে হারানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন।

সাক্ষাতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি উঠে আসে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চাই।’

স্বচ্ছ ভোট বাক্স চালুসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উদ্যোগ ও অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর ২১ বছর এ দেশে গণতন্ত্র ছিল না। আমরাই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’

গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা কোয়ালিশন সরকার গঠন করার কথা বলেছিলাম। বিএনপিকে বলেছিলাম যে মন্ত্রণালয় তোমরা চাও দেবো, তোমরা আস। কিন্তু তারা আসেনি।’

কানাডার বিদায়ী হাইকমিশনার বাংলাদেশে দায়িত্বপালনকালে প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে এ জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। বাংলাদেশে থাকার সময় বাংলা ভাষা শেখার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে তিনি।

প্রথম দিকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে কানাডা একটি। এ বিষয়টি উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমাগত আরো জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা।’

কানাডা উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যহত রাখবে এবং আরো জোরদার করবে বলে জানান পিয়েরে লরামি।

ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/টিএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :