বটগাছটি অপসারণ না করায়...

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০১৭, ২১:৫৩

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ঝড়ের তাণ্ডবে একটি সরকারি বটগাছ উপড়ে পড়ায় তা সরিয়ে নিতে প্রশাসনের দীর্ঘ সূত্রতার ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে নিয়েছেন বেশকজন ব্যবসায়ী। উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুঁড়া বাজারে প্রায় চার মাসের অধিক সময় ধরে পড়ে থাকা ওই শতবর্ষী বটগাছ এখনো অপসারণ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে গাছের নিচে চাপা পড়ে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা প্রতিষ্ঠান আর আবার চালু করতে পারছেন না। ফলে ওইসব ব্যবসায়ীদের ব্যবসা কার্যক্রম ব্যাহতসহ আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

অন্যদিকে গাছ অপসারণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

কাংশা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিস্টার আলী জানান, গত ২৯ মার্চ রাতে ঝড়ের তাণ্ডবে ডেফলাই হয়ে বাকাকুঁড়া বাজারের মাঝ দিয়ে গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র সড়কের ওপর ওই বটগাছটি উপড়ে পড়ে। এ সময় সড়কসংলগ্ন ৩টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। যখন গাছটি উপড়ে পড়ে, তখন দোকানে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া সড়কজুড়ে গাছটির ডালপালা পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের চলাচলও দুষ্কর হয়ে পড়ে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশনায় গাছটির ডাল কেটে মানুষের চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়। লিখিতভাবে প্রশাসনিক অনুমোদন না পাওয়ায় সম্পূর্ণ গাছটি চার মাসের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত মুরগি ব্যবসায়ী মো. জলিল মিয়া বলেন, গাছটি তার দোকানের ওপর পড়ে পুরো দোকানই ভেঙে গেছে। এতে তার প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গাছটি সরিয়ে না নেয়ায় ব্যবসার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না বলে তিনি জানান।

কাংশা ও ধানশাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সুজন কুমার সোম বলেন, ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় গাছটি বনবিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তা পরিমাপ করে নিলামে বিক্রির জন্য উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

ওই বটগাছটি অপসারণের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাদিকুর রহমান।

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :