জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। ফলে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০ গ্রাম নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়া দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি। বন্ধ হয়ে পড়েছে প্রায় একশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অস্বভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার সকাল ৬ টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ১১৪ সিন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া, চিনাডুলী, বেলগাছা, পাথর্শী ও কুলকান্দি এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ, চুকাইবাড়ি ও চিকাজানী ইউনিয়ন ও মাদারগঞ্জের বালিজুড়ি ও চরপাকেরদহ ইউনিযনের কমপক্ষে ৩০টি গ্রাম নতুন প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই উপজেলার ৭০ গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানিতে ইসলামপুর উপজেলা সদরের সাথে বলিয়াদহ-আমতলী, গোঠাইল-ইসলামপুর মলমগঞ্জ-গোঠাইল সড়কসহ বেশ কয়টি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তলিয়ে গেছে আমন ধান।
হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই উপজেলার বন্যাত্তোদের জন্য ১৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২০ হাজার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/প্রতিনিধি/জেডএ)