বগুড়ায় যমুনার পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপরে

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৩০

বগুড়াসহ উত্তরের জেলাগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি এবং উজানের পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৪০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সারিয়াকান্দি ও ধুনট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে সারিয়াকান্দি, ধুনট এবং সোনাতলা উপজেলার ১৫ হাজার ৪৫৫ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিন উপজেলা বন্যায় আক্রন্ত হলেও এখন পর্যন্ত শুধু সারিয়াকান্দিতে ত্রাণের চাল দেয়া হয়েছে ৫০ মেট্রিকটন, নগদ টাকা এক লাখ। ধুনট, সোনাতলায় কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

মানুষ নতুন করে আবারো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার্তরা ঘরবাড়ি ছেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয়ের জন্য ছুটছে। ক্রমান্বয়ে বগুড়ার তিন উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি নতুন করে ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নদীগর্ভে ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুহারা হয়ে পড়ছে যমুনা তীরবাসী। সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর, কামালপুর, চন্দনবাইশা ও কর্ণিবাড়ি, সোনাতলা উপজেলার মধুপুর, তেকানি চুকাইনগর, পাকুল্লা, ধুনটের ভান্ডারবাড়ী, গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন বন্যা কবলিত এলাকায় পরিণত হয়েছে। তিন উপজেলার এসব ইউনিয়নগুলোতে ইতোমধ্যেই পানি প্রবেশ করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে নিম্নাঞ্চলগুলোর লোকালায়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে গৃহহারার সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এসব এলাকার বানভাসি মানুষ থাকার জায়গা না পাওয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং তীব্র জ্বালানি সংকটে দিন পার করছে। সামান্য ত্রাণ সামগ্রী এসব এলাকায় দিলেও বেশির ভাগ মানুষের ঘরে পৌঁছেনি ত্রাণের প্যাকেট।

এদিকে বগুড়া কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যে দ্বিতীয় দফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা আছে। ইতোমধ্যেই এই অঞ্চলের চার হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলে গেছে।

উল্লেখযোগ্য ফসলের মধ্যে আউস ৭১৫, আমন বীজতলা ২০, রোপা আমন ৩৯৭২, শাকসবজি ১২৮ হেক্টর।

এদিকে পানির চাপে যমুনা নদীর বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে আছে। এলাকাবাসী সংশয় প্রকাশ করে জানিয়েছে তারা বাঁধ ভাঙার আশংকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, আগামী তিন দিন পানি বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে বৃদ্ধির পরিমাণ কমে আসবে।

তিনি আরও জানান, পানি বাড়লেও বাঁধ এখন পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত আছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :