শোক দিবসের বাণী দিয়েও মেয়রের ‘প্রত্যাহার’!
যে কোনো উৎসব বা বিশেষ কোনো দিন এলেই বাণী দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বাণীগুলো গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে নির্দিষ্ট দিবস উপলক্ষে মেয়রের বিভিন্ন বক্তব্য লেখা থাকে। গণমাধ্যমে সেটি প্রকাশও হয়।
এবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষেও রাসিকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে মেয়রের বাণী পাঠানো হয়। কিন্তু সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার জন্যও পরবর্তীতে সাংবাদিকদের ফোন করা হয়। শোক দিবস উপলক্ষে মেয়রের এই বাণীটি ই-মেইলে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল সোমবার দুপুর ১টা ৩৪ মিনিটে।
ওই বাণীতে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাণী প্রদান করেছেন মেয়র বুলবুল। বাণীতে তিনি বলেন, জাতির শত্রুরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি নগরবাসীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
তবে সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে রাসিকের জনসংযোগ সহকারী রকিবুর তুহিন এই প্রতিবেদককে ফোন করে মেয়রের ওই বাণীটি প্রকাশ করতে নিষেধ করেন। এ বিষয়ে তিনি কিছুক্ষণ পরে বিস্তারিত জানাচ্ছেন বলেও জানান। কিন্তু রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিনি আর ফোন করেননি।
এ নিয়ে জানতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানকে ফোন করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, রাসিকের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এখন ঢাকায় আছেন। তার নামে পাঠানো শোক দিবসের বাণীটি যেন গণমাধ্যমে প্রকাশ না হয়, সে জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। মেয়রের নির্দেশনা মোতাবেক তারা বাণীটি না প্রচার করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছেন।
মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, পাঠানো বাণীটির প্রকাশ বন্ধে তিনি রাসিকের জনসংযোগ দপ্তরকে কোনো নির্দেশনা দেননি। তিনি ঢাকায় থাকায় এ-ও জানেন না যে, জনসংযোগ দপ্তর থেকে শোক দিবস উপলক্ষে তার নামে কোনো বাণী পাঠানো হয়েছিল কিনা।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি বুলবুল বলেন, যে কোনো বিশেষ দিবস এলে তার বাণী রাসিকের জনসংযোগ দপ্তরের কর্মকর্তারাই লেখেন। তিনি সেটি পড়ে দেখে স্বাক্ষর করেন। এরপর সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু এবার তিনি ঢাকায় থাকায় বাণী দিতে পারেননি বলেও দাবি করেন মেয়র বুলবুল।
(ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/আরআর/এলএ)