বাকশাল কায়েম হলে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যেত

শেখ আদনান ফাহাদ
 | প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৪:০৯

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস আজ। সেদিন কলঙ্কের ভোরে শুধু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়নি, হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশকে। আজ জাতির পিতা আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশে আমরা বেঁচে আছি। কিন্তু এই বেঁচে থাকা অনর্থক হবে যদি জাতির পিতাকে আমরা গভীরভাবে অনুধাবনের চেষ্টা না করি। জাতির পিতাকে গভীর অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে মেহসুস করতে হলে শাহাদাত বরণের কিছুদিন পূর্বে প্রবর্তিত ‘বাকশাল’ ব্যবস্থাকে আমাদের বুঝতে হবে।

একটা কৃষিনির্ভর আধা-সামন্ত সামাজিক অবস্থা থেকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের সংগ্রামকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ বলে অভিহিত করতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনৈতিক মুক্তি অর্জনের সংগ্রামে সফল হয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে গিয়ে জাতির জনক গোড়াপত্তন করেছিলেন ‘বাকশাল’ এর। ‘বাকশাল’ মানে কী? আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নামে ‘রাজনীতি’ করে সমাজে বেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এমন অনেকের সাথে কথা বলে দেখেছি ‘বাকশাল’ মানে বুঝেনা। আর বিএনপি-জামাত ও তাদের রাজনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক দোসররা ‘বাকশাল’ প্রসঙ্গে যুগ যুগ ধরে এমনই নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিও বাকশাল নিয়ে কথা বলতে আজ আর স্বস্তিবোধ করেন না। ফলে বাকশাল সম্পর্কে জেনে-না জেনে একপ্রকার নেতিবাচক ধারণা নিয়ে বড় হয় এদেশের নতুন প্রজন্ম। অথচ বাকশাল হতে পারত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শক্তিশালী প্লাটফর্ম।

বাকশাল কোনো একনায়কতান্ত্রিক বা অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারণা ছিলনা। স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারীদের নিয়ে নিয়ন্ত্রণে এনে সরকারি-বেসরকারি উৎপাদন ব্যবস্থায় সমাজতান্ত্রিক পদ্ধতি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু ‘বাংলাদেশ কৃষক, শ্রমিক, আওয়ামীলীগ (বাকশাল)। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন স্পিকার আব্দুল মালেক উকিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে ভাষণে তিনি বলেন, ‘আপনার মনে আছে যে, সংবিধান যখন পাস করা হয়, আমি বলেছিলাম যে, এই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য শোষণহীন সমাজ-ব্যবস্থার জন্য যদি দরকার হয়, এই সংবিধানের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা হবে’।

জাসদের গণবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন-হত্যা, আওয়ামীলীগের এক শ্রেণির নেতা–কর্মী ও আমলাদের দুর্নীতি, সরকারি নানা তহবিলের তসরুফ, পাকিস্তানপন্থী সাংবাদিক ও অন্যান্য বুদ্ধিজীবী সমাজের যোগসাজশে সাংবাদিকতার নামে সরকার-বিরোধী সিস্টেম্যাটিক অপপ্রচার ইত্যাদি নানা অরাজকতার অবসান ঘটিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র ও সমাজের সর্বস্তরে শৃঙ্খলা এনে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের নিমিত্তে বঙ্গবন্ধু বাকশাল ব্যবস্থার সূচনা করেন। সংসদের ভাষণে তিনি বাকশাল সম্পর্কে আরও বলেছিলেন, ‘ অ্যামেন্ডেড কনস্টিটিউশনে যে নতুন সিস্টেমে আমরা যাচ্ছি, তাও গণতন্ত্র। শোষিতের গণতন্ত্র। এখানে জনগণের ভোটাধিকার থাকবে। এখানে আমরা শোষিতের গণতন্ত্র রাখতে চাই’।

সংবিধানের সংশোধন সম্পর্কে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘ সংবিধানের এই সংশোধন কম দুঃখে করি নাই, স্পীকার সাহেব। যারা জীবনভর সংগ্রাম করেছে- এ কথা যেন কেউ মনে না করে যে, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গেছে। জনগণ যা চেয়েছে, এখানে সেই সিস্টেম করা হয়েছে। তাতে পার্লামেন্টের মেম্বারগণ জনগণের ভোটের দ্বারা ভোটে নির্বাচিত হবেন। যিনি প্রেসিডেন্ট হবেন, তাঁকেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার আছে’।…আজকে আমূল পরিবর্তন করেছি সংবিধানকে। কারণ একটা সুষ্ঠু শাসন-ব্যবস্থা এ এদেশে কায়েম করতে হবে, যেখানে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে, যেখানে মানুষ অত্যাচার, অবিচার হতে বাঁচতে পারে’।

গরীব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর নিমিত্তে নিমিত্তে প্রণীত বাকশালকে জাতির পিতা ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। জাসদের গণবাহিনী ও অন্যান্য রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে এনে তাদের অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধ করে সারাদেশে শৃঙ্খলা আনতে চেয়েছিলেন তিনি। আওয়ামীলীগ ছাড়া যেসব রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদেরকেও নতুন সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহবান ছিল জাতির পিতার। সংসদে সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘ যারা দেশকে ভালবাসেন, চারটি প্রিন্সিপল-কে ভালবাসেন-জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা-এই চারটিকে, তাঁরা আসুন, কাজ করুন। দরজা খোলা আছে। সকলকেই আহ্বান জানাচ্ছি। যারা এই মতে বিশ্বাস করেন। যারা এই মতে বিশ্বাস করেন, তাঁদের প্রত্যেকেই আসুন, কাজ করুন, দেশকে রক্ষা করেন। দেশকে বাঁচান, মানুষকে বাঁচান, মানুষের দুঃখ দূর করুন। আর দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, চোরাকারবারিদের উৎখাত করুন’।

১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাকশাল কর্তৃক আয়োজিত জনসভায় ভাষণ প্রদান করেন জাতির পিতা। যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশ এর বিধ্বস্ত অর্থনীতি, পাকিস্তানের কাছ থেকে পাওনা না পাওয়া ইত্যাদি কথা বলে বাকশালের রূপরেখা নিয়ে পুনরায় কথা বলেন জাতির পিতা শেখ মুজিব। তিনি বলেন, ‘ প্রেসিডেন্সিয়াল ফরম অব গভর্নমেন্ট করেছি। জনগণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। পার্লামেন্ট থাকবে। পার্লামেন্টের নির্বাচনে একজন, দুইজন, তিনজনকে নমিনেশন দেওয়া হবে। জনগণ বাছবে, কে ভাল, কে মন্দ। আমরা চাই শোষিতের গণতন্ত্র, আমরা চাইনা শোষকের গণতন্ত্র’।

বাকশালের ফরমেটে সরকার ব্যবস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘২৫/৩০ বৎসরে বাংলায় কোন জমি থাকবেনা হাল চাষ করার জন্য। বাংলার মানুষ বাংলার মানুষের মাংস খাবে। সেই জন্য আজকে আমাদের পপুলেশন কন্ট্রোল, ফ্যামিলি প্ল্যানিং করতে হবে। এটা হল তিন নম্বরের কাজ। এক নম্বর কাজ হল-দুর্নীতিবাজ খতম করা। দুই নম্বর হল-কলে-কারখানায়, ক্ষেতে-খামারে প্রোডাকশন বাড়ানো। তিন নম্বর হল-পপুলেশন প্ল্যানিং। চার নম্বর হল, জাতীয় ঐক্য’।

নতুন সিস্টেমের গ্রাম বাংলার অবস্থা কী দাঁড়াবে সে বিষয়ে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘ যে নতুন সিস্টেমে যেতে চাচ্ছি আমি, তাতে গ্রামে গ্রামে বহুমুখী কো-অপারেটিভ করা হবে। ভুল করবেন না। আমি আপনাদের জমি নেবনা। ভয় পাবেন না যে, জমি নিয়ে যাব। তা নয়, পাঁচ বৎসরের প্ল্যানে বাংলাদেশ ৬৫ হাজার গ্রামে একটি কো-অপারেটিভ হবে। প্রত্যেকটি গ্রামে এই কো-অপারেটিভ। এর জমি মালিকের জমি থাকবে। কিন্তু তার ফসলের অংশ সবাই পাবে। প্রত্যেকটি বেকার, প্রত্যেকটি মানুষ,- যে মানুষ কাজ করতে পারে, তাকে এই কো-অপারেটিভের সদস্য হতে হবে। এগুলি বহুমুখী কো-অপারেটিভ হবে। পয়সা যাবে তাদের কাছে, ওয়ার্কস প্রোগ্রাম যাবে তাদের কাছে। আস্তে আস্তে ইউনিয়ন কাউন্সিলে যারা টাউট আছেন, তাদের বিদায় দেওয়া হবে। তা না হলে দেশকে বাঁচান যাবেনা। এই জন্যই ভিলেজ কো-অপারেটিভ হবে’।

বাকশাল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালের ১৯ জুন বঙ্গভবনে। সেখানে বাকশালের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করা রাখা ভাষণে বঙ্গবন্ধু দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘ আমাদের দেশে বহু দিনের একটা মেন্টালিটি দেখেছি। কিছু একটা নতুন জিনিস দেখলে আমাদের একটা বাধা আসে। বিপ্লব কাকে বলা হয়। পুরনো রীতি, যেটা দেশের মঙ্গল করেনা, সেই রীতি বদলানোর মত সৎ সাহস থাকা প্রয়োজন। পুরনো আইন, যে আইন দেশের মঙ্গল করেনা, সেই আইনের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করবার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে। যে সিস্টেম আজ আমরা দেখি, সেই সিস্টেম ব্রিটিশ কলোনিয়াম সিস্টেম। ব্রিটিশ সিস্টেম করে গিয়েছিল বা যেটা আমাদের দেশে চলছিল অর্থাৎ উপনিবেশবাদীরা দেশকে শোষণ করবার জন্য যে সিস্টেম দেশের এডমিনিস্ট্রেশন মধ্যে চালু করে গিয়েছিল- সেই এডমিনিস্ট্রেশন, সেই সিস্টেম, সেই আইন, সেই সব কিছু পরিবর্তন করবার নামই বিপ্লব’।

‘গো অন, সিক্সটি ডিসট্রিক্টস। ষাটটি সাবডিভিশন হবে ৬০টি জেলা হবে। প্রত্যেক জেলার জন্য একজন গভর্নর থাকবে। সেখানে ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তাঁর অধীনে এসপি থাকবেন । দলের প্রতিনিধিগণ থাকবেন, সংসদ সদস্যগণ থাকবেন, জনগণের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কাউন্সিলে সরকারী কর্মচারীরাও থাকবেন। প্রত্যেক জেলায় অর্থাৎ বর্তমান মহকুমাসমূহে একটি প্রশাসনিক কাউন্সিল থাকবে এবং তার একজন গভর্নর থাকবেন। তিনি স্থানীয়ভাবে শাসনব্যবস্থা চালাবেন। শাসনব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। জেলা গভর্নরের কাছে কাছে যাবে আমার ওয়ার্কস প্রোগ্রামের টাকা। তার কাছে যাবে আমার খাদ্য সামগ্রী। তার কাছে যাবে আমার টেস্ট রিলিফ, লোন, বিল ও সেচ প্রকল্পের টাকা। কেন্দ্রীয় প্রশাসনের ডাইরেক্ট কন্ট্রোলে এডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিল ডিসট্রিক্ট এডমিনিস্ট্রেশন পরিচলানা করবে’।

এক বছরের মধ্যে থানা এডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিল করতে হবে বলে সবাইকে নির্দেশ দিয়ে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘সেখানে বাকশালের রিপ্রেজেন্টেটিভ, কৃষকের রিপ্রেজেন্টেটিভ থাকবে, শ্রমিক থাকবে, যুবকের থাকবে, মহিলাদের থাকবে। একজন গভর্নর থাকবেন, যিনি হবেন হেড অব এডমিনিস্ট্রেশন। সেখানে মেম্বার অব পার্লামেন্ট গভর্নর হতে পারেন। সেখানে পার্লামেন্টের মেম্বার নন, এমন পলিটিক্যাল ওয়ার্কার হতে পারেন। সেখানে সরকারী কর্মচারী-যাকে বিশ্বাস করি, তিনিও হতে পারেন’।

বাকশাল এর আইডিয়াকে বঙ্গবন্ধু আমাদের নিজেদের সমাজতন্ত্র বলে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যে শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কথা আমরা বলেছি, সে অর্থনীতি আমাদের, সে ব্যবস্থা আমাদের। কোন জায়গা থেকে হায়ার করে এনে, ইম্পোর্ট করে এনে, কোন ইজম চলেনা। এদেশে-কোন দেশে চলে না। আমার মাটির সঙ্গে, আমার মানুষের সঙ্গে, আমার কালচারের সঙ্গে, আমার ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে, আমার ইতিহাসের যুক্ত করেই আমার ইকনমিক সিস্টেম গড়তে হবে। কারণ আমার দেশে অনেক অসুবিধা আছে। কারণ আমার মাটি কি, আমার পানি কত, আমার এখানে মানুষের কালচার কি, আমার ব্যাকগ্রাউন্ড কি, তা না জানলে হয়না। ফান্ডামেন্টালি আমরা একটা শোষণহীন সমাজ গড়তে চাই, আমরা একটা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি করতে চাই। বাট দি সিস্টেম ইজ আওয়ার্স’। উই ডু নট লাইক টু ইম্পোর্ট ইট ফ্রম এনিহোয়ার ইন দি ওয়ার্ল্ড’।

উপরে উল্লেখিত কথাগুলো জাতির জনকের নিজের মুখের কথা। অথচ আমরা জেনে-না জেনে নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী বাকশালের ব্যাখ্যা করে চলেছি। বিএনপি-জামাত ও তথাকথিত ‘সুশীল’ সমাজ বাকশালের অপব্যাখ্যা দিয়ে চলেছে। আর আওয়ামীলীগ এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলো বাকশালের প্রকৃত আদর্শ ও দর্শন নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে তেমন কোন চেষ্টা করছেনা। অথচ জাতির পিতা দেশের গরীব মানুষের ভাগ্য ফেরাতে শেষ চেষ্টা হিসেবে এই বাকশাল কায়েম করতে চেয়েছিলেন।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :