অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় ডুবতে বসেছে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল

ইফতেখার রায়হান, টঙ্গী (গাজীপুর)
| আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০১৭, ০৮:৫১ | প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট ২০১৭, ০৮:২২

চিকিৎসাসেবার নামে হয়রানিসহ নানা রকম অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে প্রায় ডুবতে বসেছে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালটি। শুধু টঙ্গী নয়, পার্শ্ববর্তী উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ ও কালীগঞ্জ থানা এলাকার কয়েক লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান এই হাসপাতালটি। দিনের পর দিন সরকারি চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও চিকিৎসাসেবার নামে কথিত দালালদের প্রতারণা বেড়েই চলেছে এখানে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে এই এলাকার নিরীহ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা।

টঙ্গী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালটিকে চলতি বছরের ৩১ এপ্রিল ২৫০ শয্যায় উন্নীত করে উদ্বোধন করা হয়। নতুন করে নাম দেয়া হয় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম হাসপাতালের নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু আধুনিক যন্ত্রপাতি ও লোকবল সংকটের কারণে গত চার মাসেও সেবা মেলেনি টঙ্গীর একমাত্র সরকারি হাসপাতালটিতে। অথচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই দুইবার দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব চুরির ঘটনার একটিতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলেও অপর চুরির ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে থানায় কোনো ডায়েরি বা অভিযোগ করেননি হাসপাতালের আরএমও। এই দুটি চুরির ঘটনার এখন পর্যন্ত কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি প্রশাসন ও হাসপাতাল কতৃপক্ষের কেউই। এ নিয়ে গত ৪ মার্চ ‘টঙ্গী হাসপাতালে চুরির পর চোর-পুলিশ খেলা’ শিরোনামে ঢাকাটাইমসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

পরবর্তী সময়ে ৬ মার্চ ‘অব্যবস্থাপনাই টঙ্গী হাসপাতালে নিয়য়’ শিরোনামে ঢাকাটাইমসে আরেকটি ফলোআপ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশের কিছুদিন পর আবারো নতুন ভবনটিতে চুরির ঘটনা ঘটে। তবুও টনেক নড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। দিনের পর দিন হাসপাতালটির সেবার মান কমে যাওয়ার পেছনে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. পারভেজ হোসেনকে দায়ী করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে নিজের মুক্তিযোদ্ধা বাবার পরিচয় ও শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে দিনের পর দিন হাসপাতালটিকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে আরএমওর বিরুদ্ধে। তার (আরএমও) বিরুদ্ধে কোনো কর্মকর্তা কিছু বললে তাকে অন্যত্র বদলি করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই কারণে অনেকেই তার ভয়ে হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে মুখ খুলে না। তবে ঢাকাটাইমসের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পারভেজ হোসেন ও টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের দুর্নীতির চিত্র।

দালাল সিন্ডিকেট ও গাড়ি পার্কিং

টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে দিনের বেলা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা কোনো রকম সেবা পেলেও রাত হলেই পাল্টে যায় এর দৃশ্য। সন্ধ্যার পরপরই অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালটি। এ সময় হাসপাতালের সামনের মাঠে বিলাসবহুল গাড়ি ও বহিরাগত অ্যাম্বুল্যান্সের সারিবদ্ধতা দেখে মনে হয় এ যেন গাড়ি বেচাকেনার এক জমজমাট হাট। কিন্তু আসলে তা নয়! পাশেই গড়ে উঠা ব্যাঙের ছাতার মতো ক্লিনিকগুলোয় ব্যবহৃত হয় এ গাড়িগুলো। কতিপয় চিকিৎসকদের এ গাড়িগুলো রোগী ভাগিয়ে নেয়ার এক অভিনব পন্থা।

সন্ধ্যার পর হাসপাতালের সামনের শহীদ মিনারটি মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের দখলে চলে যায়। এসময় মাঝে মাঝে ভাসমান পতিতাদের অনাগোনাও দেখা যায়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, টঙ্গী ও পার্শ্ববর্তী উত্তরা আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠা প্রায় অর্ধ-শতাধিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংঘবদ্ধ দালাল চক্র দিন-রাত টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল চত্বরে বসে থাকে রোগী ভাগিয়ে নেয়ার জন্য। আর রোগী ভাগিয়ে নেয়া দালালদের মধ্যে রয়েছে একাধিক গ্রুপ। রোগী নেয়াকে কেন্দ্র করে প্রায়ই এসব দালাল গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে সৃষ্টি হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের। দালাল সিন্ডিকেট গ্রুপের অন্যতম হলেন: মো. শাহীন. মিরাজ শেখ, সালাহ উদ্দিন, বিল্লাল, জিবন, সুমন, রাসেল, ইকবাল, আনসার, শরীফ। দালাল প্রতিরোধে হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রহরী নিয়োগ হলেও তা কাজে আসছে না। হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে দালালরা হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কমিশনে ভর্তি করাচ্ছে। হাসপাতালের যে দুজন প্রহরী রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও দালালদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে।

অ্যাম্বুলেন্স সেবার নামে হয়রানি

টঙ্গী সরকারি হাসপাতালটিতে একটিমাত্র অ্যাম্বুলেন্স থাকায় প্রায় সময়ই দুর্ভোগে পড়তে হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো ইমারজেন্সি রোগীদের। দালাল সিন্ডিকেটের সাথে যোগসাজস করে অ্যাম্বুলেন্স চালক সিরাজ প্রায় সময়ই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো রোগীদের অভিজাত উত্তরার আরএমসি হাসপাতাল ও রিজেন্ট হাসপাতালে পৌঁছে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এজন্য রোগীপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা কমিশন দেয়া হয় সিরাজকে। তবে সরকারি নীতিমালা মোতাবেক সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢামেকে পাঠানো রোগী অন্য কোনো বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া যাবে না। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশনকে ‘বুড়ো আঙ্গুল’ দেখিয়ে প্রতিনিয়ত অনিয়ম ও দুর্নীতি করে চলেছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক সিরাজ।

খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন

সরকারি হাসপাতালে রোগীদের খাবারের মান নিয়েও রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ। সপ্তাহের কোন দিন কোন খাবারটি রোগীদের দেয়া হবে এবং কতটুকু পরিমাণে দেয়া হবে এমন রুটিন বা রোস্টার থাকলেও তা মানছেন না খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া নোংরা ও বাসি খাবার খাওয়ানো হয় এমন অভিযোগও রয়েছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

বহিরাগত প্র্যাক্টিশিয়ান দিয়ে চিকিৎসা

টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বহিরাগত প্র্যাক্টিশিয়ান দ্বারা রোগীদের ড্রেসিং ও সেলাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা দেয়া হয়। জানা যায়, বিভিন্ন নার্সিং কলেজের ইন্টার্নি ছাত্র-ছাত্রীদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্র্যাকটিস করার সুযোগ করে দেন হাসপাতালের আরএমও ডা. পারভেজ।

৫০% কমিশনে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্যাথলজি পরীক্ষা

সরকারিভাবে সবধরনের সার্জারি, প্যাথলজি, রেডিওলজি, মাইক্রোবায়োলজি, আল্ট্রাসনোলজি ও ইসিজিসহ অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকলেও অতিরিক্ত ৫০% অনারিয়াম বা সম্মানির লোভে দালালদের যোগসাজসে রোগীদের বিভিন্ন বাহানায় পাঠিয়ে দেয়া হয় পার্শ্ববর্তী আবেদা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ফাতেমা জেনারেল হাসপাতাল, সেবা হাসপাতাল, ঢাকা কিংস হাসপাতাল, সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ অন্যান্য স্থানে। আর একটু জটিল রোগী হলেই পাঠানো হয় অভিজাত এলাকা উত্তরার রিজেন্ট, কেয়ারজোন, কার্ডিওকেয়ার, শিনশিন জাপান, নস্ট্রামস ও ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন হাসপাতালে। এসব হাসপাতালে আইসিইউর নামে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় লাখ লাখ টাকা। আর এর বৃহৎ একটি অংশ ফেরত চলে আসে রোগী পাঠানো চিকিৎসক ও দালালদের পকেটে। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চুক্তিভিত্তিক মাসোহারা পেয়ে থাকেন হাসপাতালের আরএমও। এমনটাই অভিযোগ চিকিৎসা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালটির ভেতরে ভর্তি হওয়া কয়েকজন রোগী ঢাকাটাইমসকে বলেন, সঠিক সময়ে নার্স ও চিকিৎসদের উপস্থিতি পাওয়া যায় না। অপরদিকে ঔষধও নিয়মিত পাওয়া যায় না এই সরকারি হাসপাতালে। দুই একটা ঔষধ ছাড়া বাকি সব ঔষধই কিনে আনতে হয় বাহিরের দোকানগুলো থেকে।

ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশ

হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকলেও হাসপাতালের ভেতরে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এসব আবর্জনা থেকে সৃষ্ট উৎকট গন্ধ ও রোগ-জীবাণুতে রোগীর স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব. শিশু ওয়ার্ডসহ সব জায়গাতেই ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে রয়েছে।পরিচ্ছনাকর্মীদের অবহেলায় অতিষ্ঠ হয়ে অনেক রোগীর স্বজনরাই পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন।

হাসপাতালের জেনারেটর নষ্ট

টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের জেনারেটর কয়েক বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে। অযত্ন ও অবহেলায় জেনারেটর কক্ষের তালাতেও পড়েছে মরচে। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতালটিতে নেমে আসে ভুতুড়ে পরিবেশ। হাসপাতালে ভর্তি নারী ও শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিন্তু এসব দেখার যেন কেউ নেই।

রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা টর্চলাইট জ্বেলে কিংবা মোমবাতির আলোয় রোগীদের চিকিৎসা দেন। অপারেশন থিয়েটারের জন্যও নেই কোনো জেনারেটর। অপারেশনের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে তখন একটি মাত্র আইপিএস চিকিৎসকদের সম্বল।

হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ঢাকাটাইমসকে জানান, বছরের এই সময়টাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। কিন্তু এই হাসপাতালে কোনো জেনারেটর কিংবা আইপিএস সুবিধা এই মুহূর্তে নেই। বাধ্য হয়েই মোমবাতি কিংবা টর্চলাইট জ্বেলে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের উপদ্রব

দিনভর টঙ্গী সরকারি হাসাপাতালে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় লেগেই থাকে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা রোগীদের হাত থেকে চিকিৎসাপত্র ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের কোম্পানির ওষুধের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন। এই হাসপাতালের কিছু অসাধু চিকিৎসক মাসোহারা নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধের নাম চিকিৎসাপত্রে দীর্ঘদিন ধরে লিখে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বৃষ্টিতে জরুরি বিভাগে হাঁটুপানি

সামান্য বৃষ্টি হলেই টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পানি জমে থাকে। এছাড়া জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের বারান্দাতেও আধা ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় টঙ্গীবাসীর। দূষিত পানি ও আশপাশের এলাকার স্যুয়ারেজের পানির সঙ্গে বিভিন্ন শিল্প কারখানার বিষাক্ত পানি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।

এবিষয়ে জানতে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. পারভেজ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এসব অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মনজুরুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর দালালদের ব্যাপারে বেশ কয়েকবার থানা পুলিশ ও র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। দালালমুক্ত করার লক্ষ্যে সব ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। আর পুরাতন ভবনটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। হাসপাতালে লোকবল সংকট রয়েছে, তাই নতুন ভবনটিতে এখনো চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। তবে শিগগিরই নতুন ভবনটিতে প্রাথমিকভাবে আউটডোর চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করা হবে।

হাসপাতালের আরএমওর দুর্নীতি ও অনিয়মের সম্পর্কে তিনি বলেন, হাসপাতালের আরএমও কোনো দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত আছেন কি না সেটি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/আইআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :