দিনাজপুরে কমছে পানি, বাড়ছে খাদ্য সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০১৭, ১০:৩৬ | প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট ২০১৭, ১০:২৭

দিনাজপুরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। আস্তে আস্তে পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ। বানভাসী এলাকায় অনেক নিম্নাঞ্চলেই এখনো পানি জমে আছে। পানি জমে আছে অনেক ঘরবাড়িতেও। সংকট দেখা দিয়েছে সুপেয় পানিরও।

জানা গেছে, এখনো জেলার ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। এসব বানভাসী মানুষ ৩৮৪টি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক এলাকায় আস্তে আস্তে পানি নামতে শুরু করলেও বেড়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট। গবাদিপশু’র খাদ্যেরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছেন, আস্তে আস্তে নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে।

পানি কমতে শুরু করলেও জ্বর-সর্দি, আমাশয়, ডায়রিয়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বানভাসী মানুষের। তাদের সেবা দিতে স্থানীয় প্রশাসন ১২৫টি স্বাস্থ্য ক্যাম্প খুলেছে। বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী এবং বিজিবিও বানভাসী মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে।

এবারের বন্যায় দিনাজপুরে এ পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম। পানিতে ডুবে, সাপে কেটে এবং দেয়াল চাপায় তাদের মৃত্যু হয়।

বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনী রাতভর বন্যায় দুর্গতদের সাহায্যে কাজ করে যাচ্ছে। ৫০ মিটার ভেঙে যাওয়া দিনাজপুর শহররক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজও চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর বিশেষ দল।

পানিতে তলিয়ে থাকা দিনাজপুরের সড়ক ও মহাসড়কের অনেক স্থান ভেঙে গেছে। এতে দিনাজপুর জেলার সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলাসহ ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে পানি কমতে শুরু করায় আস্তে আস্তে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিকের চেষ্টা চলছে।

এছাড়া পানিতে রেল লাইন ডুবে যাওয়ায় পাঁচ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে পাবর্তীপুর-পঞ্চগড় রেল যোগাযোগ। হিলি স্থলবন্দর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

বানভাসী মানুষের আশ্রয় এবং বন্যায় পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়ায় দিনাজপুরের ২৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৬৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এবং জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।

বন্যার্তদের সহায়তায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ১১ লাখ টাকা, ২৭৫ মেট্রিক টন চাল ও দুই হাজার প্যাকেট (চিড়া, গুড়, মুড়ি, বিস্কুট) শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যার্তদের জন্য ৫০ লাখ টাকা এবং ৩০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চেয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন।

প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে এলেও তা পর্যাপ্ত নয়,বলে অভিযোগ পানিবন্দী মানুষ।

এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি সরজমিনে বন্যার্তদের খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।

ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/এসএস/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :