ফারাক্কার সব গেট খুলে দেয়া অনুচিত: বাদশা

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট ২০১৭, ১৬:৩৭

বাংলাদেশে বন্যার মাঝেও ভারত যদি ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেয়, তবে সেটা অনুচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি এ-ও বলেছেন, ভারত ফারাক্কার সব গেট খুলে দিলে তা বন্ধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। গেট বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হবে ভারতকে।

বুধবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর জিয়ানগর এলাকায় পদ্মা নদীর পাড় সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে বাদশা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের নদ-নদীতে যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে আমরা ধরেই নিচ্ছি এবার বন্যার প্রকটতা আসবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে, এমন আশঙ্কা মাথায় রেখেই আমরা বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘নদীর ভাঙন ঠেকাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিওব্যাগ এবং ব্লক মজুত আছে। বন্যা এবং ভাঙন নিয়ে রাজশাহীর মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’

বাদশা বলেছেন, পদ্মা নদীর তুলনায় রাজশাহী শহরে সিটি করপোরেশনের কিছু নিচু পানি নিষ্কাষণ ড্রেন আছে। বন্যা হলে সেগুলো দিয়ে পদ্মার পানি শহরে ঢোকার আশঙ্কা আছে। তবে তিনি বন্যার কবল থেকে রাজশাহীর মানুষকে রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবেন।

পদ্মার পাড় পরিদর্শনকালে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারাও ছিলেন। এ সময় পাউবোর রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান জানান, রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানির বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। নদীর পানি এখনও বিপদসীমার দেড় মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি জানান, ভাটির নদীগুলোর পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে। এখন ফারাক্কার সব গেট খুলে দিলে কিংবা উজানে বর্ষণ হলে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। তখন বন্যার আশঙ্কা আছে। তবে বন্যা মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত আছেন।

মোখলেসুর রহমান জানান, বন্যা ও ভাঙনের কবল থেকে রাজশাহী শহরকে রক্ষা করতে নগরীর রাজপাড়া থানার বুলনপুর থেকে পশ্চিমে পবা উপজেলার সোনাইকান্দি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকার পদ্মার পাড় সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে বসানো হবে ব্লক। পাঁচজন ঠিকাদার গত মে মাস থেকে ব্লক বানানোর কাজ শুরু করেছে। আরও চারজন ঠিকাদার অচিরেই কাজ শুরু করবে।

তিনি আরও জানান, আগামী বছরের জুনের মধ্যে বুলনপুর থেকে বসড়ি পর্যন্ত দুই হাজার ৬৫০ মিটার এলাকায় ব্লক বসানো শেষ হবে। আর পুরো কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে। এই প্রকল্পের আওতায় নদীর মাঝে ৬ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করা হবে। রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো এই ড্রেজিং হলে পানির স্রোতে শহর থেকে দূরে সরে যাবে। তখন রাজশাহী শহর পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/আরআর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :