জয়পুরহাটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি
জয়পুরহাটে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে তুলশীগঙ্গা নদীর পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছোট যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে পানির স্রোতে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সকাল থেকে ভাড়ি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তলিয়ে গেছে জামালগঞ্জ-ক্ষেতলাল সড়কের ৩কিলোমিটার এলাকা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে কয়েক গ্রামের সাথে।
কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, তলিয়ে গেছে প্রায় ৬হাজার হেক্টর জমির ফসল। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ। পানিবন্দী হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তুলশি গঙ্গা নদীর আক্কেলপুরের কালিতলা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত মেরামত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়লেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোন ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়নি।
জেলা প্রশাসক মোকাম্মেল হক জানান, তিনি বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় জানান, জেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ও শাক-সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মারজান হোসেন জানান, বুধবার সকাল থেকে তুলশীগঙ্গা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং কয়েকটি জায়গায় বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছিল সেগুলো দ্রুত মেরামত করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)