খুলনায় ঘের ব্যবসায়ী হত্যায় ছয়জনের যাবজ্জীবন

খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলায় মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী আজাদ গাজী হত্যা মামলার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ছয় আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আদালতের দেয়া রায়ে উল্লেখ রয়েছে।

বুধবার খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন জানান, দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফুলতলা উপজেলার বুড়িয়ার ডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফিরোজ আহমেদের ছেলে আক্তার জামিল ওরফে বনি, একই উপজেলার দামোদর ভুঁইয়া পাড়ার মৃত নুর মোহাম্মদ ভুঁইয়ার ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু ভুঁইয়া, নড়াইল জেলার গোবরা গোয়ালপাড়া এলাকার মৃত বরকত আলী শেখের ছেলে মো. আলম শেখ, একই জেলার লোহাগড়া থানার চর কালনা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মনিরুল ইসলাম ওরফে পিটপিটে সুমন, একই জেলা সদরের গোবরা এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আল মামুন ওরফে বোমারু মামুন ও আকদিয়ার চর এলাকার দেবেন্দ্র নাথ বৈরাগীর ছেলে বিপুল বৈরাগী।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু ভুঁইয়া আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অন্য পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।

এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে আইনজীবী আরিফ মাহমুদ লিটন জানান, ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে খুলনার ফুলতলা উপজেলার উত্তর আলকা গ্রামের বাড়িতে দুস্কৃতকারীরা বোমা হামলা চালায়। বিস্ফোরিত বোমার আঘাতে মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী আজাদ গাজীর নাড়ি-ভুড়ি বের হওয়াসহ গুরুতর জখম হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় আজাদ গাজীর ছোট ভাই আব্দুস সোবহান অজ্ঞাতদের আসামি করে ফুলতলা থানায় হত্যা মামলা করেন। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া বিপুল ও মামুন স্বীকার করে মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী আজাদ গাজীর কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সুমন ও মনিরুল। চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ী আজাদ গাজীকে হত্যা করা হয়। ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলা ডিবির উপ-পরিদর্শক মুক্ত রায় চৌধুরী ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)