পাহাড়ের জলবায়ু তহবিল বাস্তবায়নে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি

রাঙামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট ২০১৭, ১৭:২৫

জলবায়ু তহবিল- মানুষসহ সব প্রাণির অস্তিত্ব রক্ষার তহবিল। এ তহবিলের অর্থ কোনভাবে অপচয় করা যাবে। তহবিলের অর্থায়নে সচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে এ তহবিলের সঠিক ও যথাযথ বাস্তবায়ন হবে না।

বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ে টিআইবির সহযোগিতা সচেতন নাগরিক কমিটির আয়োজনে জলবায়ু অর্থায়ন ও প্রকল্পের সচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের অংশগ্রহণ চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, এ তহবিল পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবায়ন করতে হলে আগে জেলা পরিষদ আঞ্চলিক পরিষদ শক্তিশালী ও জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে সমন্বয় করে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

সনাক সদস্য মুজিবুল হক বুলবুল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একের পর এক দুর্যোগ আঘাত করছে। এ থেকে রক্ষার জন্য জনসচেতন গড়ে তুলতে হবে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে হবে। ফার্নিচার পাচার বন্ধ করতে হবে। সড়ক সংস্কারে গাছ ব্যবহারের পরিবর্তে বিকল্প ব্যবস্থা চিন্তা করতে হবে।

রাঙামাটি পৌর কাউন্সিলর কালায়ন চাকমা বলেন, জলবায়ু তহবিল বাস্তবায়নে অতীতে সমন্বয়হীনতা দেখে গেছে। এর কারণে ভাল করতে গিয়ে একদিকে আরো ক্ষতি হচ্ছে।

আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদ অকার্যকর অবস্থায় রাখা হয়েছে। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে বন ও ভূমির উপর অত্যাচার চলছে। কৃত্রিমভাবে পাহাড়ের জনবসতি বাড়ানো হচ্ছে।

এনজিও কর্মী পলাশ খীসা বলেন, প্রাকৃতিক বন কেটে এক প্রকারের গাছ লাগিয়ে বাগান করে বনায়নের কথা বলা হচ্ছে। এটি বন নয় এটি বাগান করা হয়। এটি পরিবেশে ক্ষতি করে। প্রাকৃতিক বনগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। গ্রামীণ সাধারণ বন সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।

সাংবাদিক হিমেল চাকমা বলেন, জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ এগুলো কার্যকর না করে এদের কাছে জলবায়ু তহবিল বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হলে দুর্নীতি হবে- এটি নিশ্চিত। এসব প্রতিষ্ঠান জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়।

সনাক সভাপতি সভাপতি চাঁদ রায়ের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বনবিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, কৃষি বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, জেলা প্রাশাসন, পুলিশ প্রশাসন, দুদকসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করা কর্মকর্তারা প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :