ধর্ষণের শিকার বালিকা জন্ম দিল কন্যাশিশু

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৭, ১৯:০৫ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৭, ১৯:০৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
প্রতীকী ছবি

ভারতে ১০ বছর বয়সী ধর্ষণের শিকার এক বালিকা বৃহস্পতিবার সকালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। গত মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ঐ বালিকার পরিবার গর্ভপাতের আবেদন করলে তার অনুমতি দেয়নি। খবর বিবিসির।

ওই নাবালিকাকে গত সাত মাস ধরে তারই নিকটাত্মীয় একজন চাচা বহুবার ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। ধর্ষণকারী ওই ব্যক্তিকে এখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কিন্তু দেশের আদালত মেয়েটিকে এই যুক্তিতে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি যে, সে গর্ভাবস্থার একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল এবং চিকিৎসকদের এক প্যানেলের রায় ছিল ওই অবস্থায় গর্ভপাতের চেষ্টা ‘খুব বিপজ্জনক’ হবে।

এই পরিস্থিতিতে আজ সকালে সিজারিয়ান সেকশন করে চন্ডীগড়ের এক সরকারি হাসপাতালে ওই ধর্ষিতা বালিকার সন্তানের জন্ম দেয়ানো হয়।

২.৫ কিলোগ্রাম (সাড়ে পাঁচ পাউন্ড) ওজনের সদ্যোজাত শিশুটি ও তার মা - দুজনেই শারীরিকভাবে সুস্থ আছে বলে হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন। তবে মেয়েটি এখনও জানে না সে একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে।

গর্ভাবস্থার সময় তাকে বলা হয়েছিল তার পেট ফুলে উঠেছে কারণ তার পেটে একটি বড় আকারের পাথর তৈরি হয়েছে।

ধর্ষিতা মেয়েটি যে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে সেটা জানাই গিয়েছিল মাত্র সপ্তাহ পাঁচেক আগে - যখন পেটব্যথা হচ্ছে বলায় তার বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

ভারতে শিশুদের কল্যাণে কাজ করেন যে অ্যাক্টিভিস্টরা, তারা অনেকেই এই ধর্ষিতা মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছেন।

এরা বলছেন যদিও ওই মেয়েটি খুব মেধাবী, কিন্তু সে আসলে মনে মনে এখনও একেবারে একটি নিষ্পাপ শিশুই রয়ে গেছে। তার সঙ্গে যে কী ঘটে গেছে, সে ঘুণাক্ষরেও তা বুঝতে পারেনি।

ধর্ষিতা মেয়েটির বাবা-মা আগাগোড়াই বলে এসেছেন, তাদের কন্যার গর্ভে যে সন্তান এসেছে তার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই, তারা কোনও সম্পর্ক চানও না।

ফলে সদ্যোজাত ওই সন্তানটিকে পরে দত্তক হিসেবে কোনও দম্পতিকে দেয়া হবে বলেই স্থির হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এসআই)