ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চোরাই সোনা উদ্ধারে পুলিশকে বাধা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট ২০১৭, ১৯:১১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের লাখী বাজারের একটি জুয়েলারি দোকান থেকে চোরাই সোনা উদ্ধার নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। এ ঘটনার পর জেলা শহরের প্রায় তিন শতাধিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাদের সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাড়ে ১১টার দিকে চোরাই স্বর্ণ কেনার ঘটনায় জেলা শহরের লাখী বাজারের লিটন দেবনাথ নামে এক দোকান মালিককে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কারিগররা পুলিশকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় লাখী বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

লাখী বাজারের ব্যবসায়ী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন সপ্তাহ আগে কলেজ পাড়ার মোর্শেদা বেগমের বাসা দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় স্বর্ণলংকারসহ অন্যান্য মালামাল চুরি হয়। পরে স্থানীয় নয়ন মিয়া নামে এক চোর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর চুরির বিষয়টি স্বীকার করে।

নয়নের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে, পুলিশ দুপুরে শহরের লাখী বাজারের অভি জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে এর মালিক লিটন দেবনাথকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে, পুলিশ যথাক্রমে তুলশি ও রাধা রাণী জুয়েলার্সে অভিযান চালায়। এসময় চুরি যাওয়া এক ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের চেইন রাধা রাণী জুয়েলার্স থেকে উদ্ধার করে ও বিশ্ব বণিক নামে এক কারিগরকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের চেইনসহ আটক দুজনকে নিয়ে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কারিগররা পুলিশকে প্রবল বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয় এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিকাল ৪টার দিকে আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলে।

লাখী বাজার স্বর্ণালংকার কারিগর সমিতির সাধারণ সম্পাদক চন্দন দেবনাথ জানান, বিভিন্ন সময়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে তা আবার অন্য ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এই স্বর্ণ কে বা কারা কোথা থেকে নিয়ে আসে তা আমাদের জানার কথা নেই। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়শই পুলিশ ব্যবসায়ীদের ধরে নিয়ে হয়রানি করে।

এদিকে লাখী বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘদিন বাজারের কতিপয় ব্যবসায়ী চোরাই স্বর্ণের ব্যবসার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের কারণে আমার সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নবীর হোসেন জানান, চোরাই স্বর্ণের চেইনসহ লিটনকে থানায় নিয়ে আসার সময় ব্যবসায়ীদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এর সাথে জড়িত কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :