ময়মনসিংহে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর ফাঁসি

ব্যুরো প্রধান, ময়মনসিংহ
 | প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট ২০১৭, ২১:২৮

ময়মনসিংহে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এই রায় দেন।

রায়ে মামলার আরেক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

রায়ের বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৯ অক্টোবর জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কালাদহ দীঘলপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান সেলিমের সাথে ছফর আলীর মেয়ে পাপিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পাপিয়া আনন্দমোহন কলেজে ইসলামের ইতিহাসে ২য় বর্ষে পড়ত এবং স্বামী মনিরুজ্জামান সেলিম ওয়ার্ল্ডভিশনে চাকরি করত। পরে স্বামী মনিরুজ্জামান স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি নেবে বলে স্ত্রীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ি পাঠান। পাপিয়ার বাবা যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করে মেয়েকে নিজের বাড়িতেই রেখে দেয়। ঘটনার ১৫ দিন আগে মনিরুজ্জামান স্ত্রী পাপিয়াকে বাড়ি নিয়ে আসে এবং শারীরিক নিযার্তন শুরু করে। ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল রাতে পাপিয়াকে হত্যা করে। পরদিন পাপিয়ার বাবাকে খবর দেয় যে, তার মেয়ে অসুস্থ। খবর পেয়ে পাপিয়ার স্বজনরা এসে দেখে ঘরের ভেতর পাপিয়ার লাশ পড়ে রয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পাপিয়ার বাবা ছফর আলী ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা করেন।

আদালতে ১৫ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক মনিরুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

মামলার অপর আসামি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কবির উদ্দিন ভূইয়া ও অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু।

আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট বিশ্বনাথ পাল ও অ্যাডভোকেট সনজীব কুমার সরকার।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এমডি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :