রুয়েটে ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১
আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় নির্ঝর নামের এক ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছেন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
সূত্রে জানা যায়, রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড়ের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা নির্ঝর ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপুর অনুসারী জাকিরের মধ্যে কয়েকদিন আগে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। তারা উভয়ই বিশ^বিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ফুড প্রোডকশন ই বিভাগের ১৬ সিরিজের শিক্ষার্থী।
মনমালিন্যের জের ধরে স্থানীয় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী নিয়ে বিকেলে জাকিরকে হুমকি ধামকি দেন নির্ঝর। জাকিরকে হুমকি দিচ্ছে জানতে পেরে হামিদ হলে উপস্থিত হন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রড, লাঠি-সোঠা, ধারাল অস্ত্রসহ ৩০-৪০ জন ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েই শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তপু সভাপতি গ্রুপের নির্ঝরকে ধাওয়া দেয়। পরে দুপক্ষে সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে দৌড়ে বঙ্গবন্ধু হলে যান নির্ঝর। নির্ঝর ভিতরে গেলে হল গেট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে নির্ঝরকে রড, লাঠি সোঠা দিয়ে বেধড়ক পেটায় তপুর উপস্থিতিতে তার অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মারধরে নির্ঝরের ডান পা ভেঙে যায়।
এদিকে আহতাবস্থায় নির্ঝরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থায় আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে সাধারণ সম্পাদক চৌধরী মাহফুজুর রহমান তপু বলেন, জুনিয়র ছেলে সিনিয়রদের রুমে গিয়ে ভাঙচুর করছে এমন জানতে পেরে সেখানে যান তিনি। পরে একটু ঝামেলা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় বলেন, বিভাগের বন্ধুদের সাথে দ্বন্দ্ব ছিল। পরে হামিদ হলে ছাত্রলীগের কিছু নেতা গেলে ধাক্কাধাক্কি হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/প্রতিনিধি/ইএস)