বাঁধ ভেঙে গাইবান্ধায় ছয় ইউনিয়ন প্লাবিত

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৪১ | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৪৪

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বাঁধ ভেঙে ছয়টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হাওয়াখানা ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়া এলাকায় করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০০শ মিটার জায়গা ভেঙে যায়।  এর ফলে ইউনিয়ন দুটিসহ মোট ছয়টি ইউনিয়নে পানি ঢুকে পড়েছে। ডুবে গেছে এসব ইউনিয়নের ফসলি জমি ও অনেক ঘরবাড়ি।

জানা গেছে, সকালে হঠাৎ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে গেলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়। এর ফলে এসব ইউনিয়নের লোকজন দুর্ভোগে পড়েন। বাঁধটি রক্ষা করতে স্থানীয় লোকজন অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা রক্ষা করতে পারেনি।

গোবিন্দগঞ্জের রাখালবুরুজ ইউনিয়নের আব্দুস সোবহান আকন্দ বলেন, ‘সকালে উঠি দেখি ঘরের চারপাকে (চারপাশে) পানি। পানিত বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট ডুবি গেছে। ছেলে-মেয়ে, স্ত্রীক নিয়ে কষ্টোত পড়ি গেছি।’

একই উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের সাত্তার মৃধা বলেন, তার তিন বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আস্তে আস্তে বাড়িতে ঢুকছে পানি । পানি আরও বাড়লে বাড়িঘরে পানি ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

এদিকে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও তিস্তার পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও বাড়ছে করতোয়া নদীর পানি। এর ফলে পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

আজ সকালে কাটাখালি পয়েন্টে করতোয়ার পানি বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরপরেও সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। উপজেলার রঘুনাথপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস দেখা দিলে সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড রাতভর কাজ করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে।

বন্যায় গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার প্রায় ৬০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। স্থগিত করা হয়েছে জেলার ২৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। এদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে ঢাকাটাইমসকে বলেন, বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। তাদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/প্রতিনিধি/এমআর