দুই কারণে ফখরুলকে কাদেরের ধন্যবাদ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দুই কারণে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ফখরুল নীলফামারীর সৈয়দপুরে গিয়ে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ না করে শুধু বক্তব্য দিয়ে চলে আসা আর ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে জিয়াউর রহমানের শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণার পরও তা নিয়ে কোনো বক্তব্য না দেয়ায় এই ধন্যবাদ জানান কাদের।
শুক্রবার নীলফামারীর সৈয়দপুর স্টেডিয়ামের সামনে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সৈয়দপুরে এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব এসেছিলেন। কিন্তু এই বানভাসি মানুষকে কিছুই দিয়ে যাননি। খালি হাতে এসেছেন, আর ভাষণ দিয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন। ফখরুল সাহেব সৈয়দপুরের মানুষদের নাকি ‘কচু’ দিয়ে গেছেন এটা আমার কথা না, মানুষের কথা।’
বিএনপি মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি এখানে এসেছিলেন খালি হাতে, মানুষকে কিছু না দিয়ে শুধু ভাষণ দিয়ে চলে গেছেন। এজন্য আপনাকে প্রথম ধন্যবাদ জানাই। আর দ্বিতীয় ধন্যবাদ জানাই, সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর
রহমানের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং উড়ে এসে জুড়ে বসা ‘ব্যানানা রিপাবলিক’ বানানোর বিষয়ে ওই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ অবৈধ ক্ষমতা দখল জেনারেল জিয়াউর রহমানের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি, তাহলে আমরা ধরে নেব আপনার মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ।’
এসময় কাদের বলেন, সরকার বন্যার্তদের পাশে সার্বক্ষণিক আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত বন্যার্তদের সম্পূর্ণ পুনর্বাসন কাজ শেষ না হবে ততক্ষণ তাদের পাশে থাকবে শেখ হাসিনার সরকার।
সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, পঞ্চগড়ের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খাঁন, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভা মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিনসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)