বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে: আমু

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৭, ২১:২৬

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল সেই চক্রই এখন আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। এর আগে ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার যড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ২০০৪ সালে গ্রেনেড দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

শুক্রবার বিকালে ঝালকাঠি সাধনার মোড়ে  জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমু বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল শুধুমাত্র তার পরিবারকে রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে দূরে রাখার জন্য নয়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল এ দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য।’

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে কাদের ইশারায় হত্যা করা হয়েছিল তা পরিষ্কার বোঝা যায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খন্দকার মোশতাকের রাষ্ট্রপতি হওয়া আর জিয়াউর রহমানের সেনা প্রধান পদে পদোন্নতি পাওয়ার মধ্য দিয়ে। বিষয়টি জাতির সামনে আরো পরিষ্কার হয় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে সরকারি চাকরি দেওয়ার মধ্য দিয়ে।

মন্ত্রী বলেন, সকল যড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন সরকার গঠন করা হল এবং দেশের উন্নয়নে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হল ঠিক তখনই আবার যড়যন্ত্র শুরু হল। সেই যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনমাস সারা দেশে খালেদা জিয়ার নির্দেশে জ্বালাও- পোড়াও শুরু হল। বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যূত করার চেষ্টা করা হল।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে শোক সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওযামী লীগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন মল্লিক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ কর্মকার, সদর উপজেলা আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা যুব লীগের যগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির, মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ইসরাত জাহান সোনালী, যুব মহিলা লীগের সভাপতি লুৎফুন্নার লুনা ও জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান।

(ঢাকাটাইমস/১২৮আাগস্ট/প্রতিনিধি/জেডএ)