কিশোরগঞ্জে রোগীর মৃত্যুতে ভাঙচুর, চিকিৎসকের ওপর হামলা
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন নারী চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে ইসিজি মেশিনসহ হাসপাতালের সিপিইউ ওয়ার্ডের অন্যান্য জিনিসপত্র। এ ঘটনায় হামলাকারী যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার নাম পরাগ (২১)। তিনি বাজিতপুর পৌর এলাকার হাজীপাড়ার ফরহাদ আহমেদের ছেলে এবং মারা যাওয়া রোগী আজিজুল হক (৭০) এর নাতি।
এ ঘটনায় জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. মাহবুব ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক ডা. এমএ ওয়াহাব বাদল তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান ও জেলা বিএমএ সম্পাদক ডা. এমএ ওয়াহাব বাদল জানান, শুক্রবার দুপুরে শহরতলির চরশোলাকিয়া এলাকার আজিজুল হক নামে একজন স্ট্রোকের জটিল রোগীকে হাসপাতালের কার্ডিও পালমোনারি ওয়ার্ডে (সিপিইউ) ভর্তি করা হয়। দুইজন চিকিৎসক তার চিকিৎসা করছিলেন। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ২টা ৪০ মিনিটে রোগী মারা যান। এসময় রোগীর কলেজ পড়ুয়া নাতি পরাগ উত্তেজিত হয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক খায়রুন্নেছা তামান্নার ওপর হামলা চালান এবং ইসিজি মেশিনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছেন।
তবে মারা যাওয়া রোগী আজিজুল হকের মেয়ে নূপুর জানান, এরকম জটিল রোগীকে বিছানায় প্রস্রাবের ব্যবস্থা করার দাবি জানালেও রোগীকে টয়লেটে নিয়ে প্রস্রাব করানোর কথা তাদের বলা হয়। এসময় রোগীকে বিছানা থেকে উঠিয়ে বসাতেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এতে রোগীর নাতি পরাগ উত্তেজনা প্রকাশ করলে তার সঙ্গে ওই নারী চিকিৎসক দুর্ব্যবহার করেন।
ইন্টার্ন নারী চিকিৎসকের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করবেন বলে জানা গেছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)