ভোলায় গুদাম কর্মকর্তাদের চাল নিয়ে চালবাজি!

ইকরামুল হক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট ২০১৭, ০৮:২৮

ভোলার চরফ্যাশন ও শশীভূষণ খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি অটোরাইস মিলের নতুন চাল বাইরে বেশি দামে বিক্রি করে বাজার থেকে পুরোনো কমদামি চাল কেনার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ৩০ জুনের পরে গুদাম থেকে কোনো চাল উঠা-নামার কথা না থাকলেও ওই গুদামগুলো থেকে প্রায়ই চাল উঠা-নামা করছে।

গুদাম কর্মকর্তা বলছেন, চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরী, নজরুল নগর ও জাহারপুর ইউনিয়নের চারটি ডিও’র প্রায় ২০০ মেট্রিক টন চাল রাস্তা খারাপ থাকায় নিতে পারেনি। ওই চালগুলোই ধাপে ধাপে নেয়া হচ্ছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, চাল সংগ্রহ অভিযানের আওতায় ভোলা খাদ্যবিভাগ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ভোলা অটোরাইস মিল থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে ১৫০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করেছে। উপজেলার শশীভুষণ গুদামে মে মাসে ৫০ মেট্রিক টন এবং মুখরবান্দা খাদ্যগুদামে ৯ জুলাই ১০০ মেট্রিক টন চাল ওঠায় মিল কর্তৃপক্ষ। যে চাল খাদ্যবিভাগ ৩৪ টাকা কেজি দরে কিনেছে, ওই চাল বাজারে ৩৮-৪০টাকা। আরও যে চাল গুদামে পাওয়া গেছে, সে চাল বাজারে ৩১-৩২ টাকা কেজি।

অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, গুদামের মধ্যে খাদ্যশষ্য ওঠানামা হচ্ছে, বস্তা খোলা, চাল নামানো ও বস্তা সেলাই হচ্ছে। শশীভূষন খাদ্যগুদামে কাগজপত্রে ৩৩ মেট্রিকটন চাল দেখানো হলেও সরেজমিন গিয়ে প্রায় ২৫০ মেট্রিকটন চাল মজুদ দেখা যায়। গুদাম কর্মকর্তা শান্তি রঞ্জন দাসকে অবশিষ্ট চালের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রাস্তা খারাপের কারণে গুদামে ট্রাক আসতে পারে না, তাই চারটি ডিও নিতে পারেনি। কিন্তু ট্রাক প্রতিদিন লোড-আনলোড হয় এমন অভিযোগের কথা বললে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

ভোলা অটো-রাইস মিলের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল হাই ঢাকাটাইমসকে বলেন, তারা চরফ্যশন উপজেলার গুদামে যে চাল দিয়েছেন, তা নিম্নমানের নয়, নতুন এবং মানসম্মত চাল। শতকরা ১৪ ভাগ আর্দ্রতা থাকার কথা থাকলেও আর্দ্রতা ছিল সাড়ে ১৩ ভাগ। আর গুদাম কর্মকর্তা কখনও নিম্নমানের চাল গ্রহণ করবেন না। এখানে গুদাম কর্মকর্তারা নতুন চাল বাজারে বিক্রি করে দিয়ে পুরোনো চাল বস্তায় ভরে রেখেছেন।

চরফ্যাশন উপজেলার মুখরবান্দা গুদামের গুদাম কর্মকর্তা আবুল কালাম চাল ওঠানামার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমি নতুন এসেছি। এসব ব্যাপারে কিছুই জানি না।

তবে ওই গুদাম থেকে বদলি হওয়া গুদাম কর্মকর্তা আকরাম হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আবুল কালামকে ৮ জুলাই চরফ্যাশন উপজেলার মুখরবান্দা গুদাম বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ৯ জুলাই গুদামে মিলের ১০০ মেট্রিক টন চাল উঠেছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনন্ত কুমার বিশ্বাস গত ৮ আগস্ট ভোলা থেকে বিদায় নিয়েছেন। তিনিও গুদামে চাল ওঠার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :