বাঁধ ভেঙে আক্কেলপুর শহর প্লাবিত
সার্বিকভাবে জয়পুরহাটের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। শনিবার সকালে আক্কেলপুরের পারঘাটি এলাকায় তুলশীগঙ্গা নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে শহরের ডাকবাংলাসহ বেশ কিছু এলাকা। স্থানীয় জনতা বাঁধটি মেরামতের চেষ্টা করছে।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎই সকালে বাঁধ ভাঙার খবরে স্থানীয়দের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেশ কিছু ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়।
তারা অভিযোগ করেছেন বাঁধটি কয়েকদিন ধরে ঝুকিপুর্ণ থাকলেও পানি উনয়ন বোর্ড কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
আক্কেলপুর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ জানান, পৌর এলাকায় তেমন পানি ছিল না, বাঁধ ভাঙার কারণেই শহরে পানি উঠেছে।
আক্কেলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কমল ও পৌর মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম নজমুল হক জানান, গত কয়েকদিন ধরেই তুলশীগঙ্গা নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল দুদিন থেকে বিপদ সীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যাচ্ছে। পানি কিছুটা কমলেও স্রোত রয়েছে সে কারণে বাঁধ ভাঙছে তবে তারা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন এবং বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তুলশীগঙ্গা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ছোট যমুনা নদী বিপদ সীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৮০ হাজার টাকা এবং ৪০ টন চাল বিতরন করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকার বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় কোনো ত্রাণই পৌঁছেনি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুল আহসান জানান, বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য নয়টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আক্কেলপুর এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে নগদ চার লাখ টাকা বিতরণ করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)