গাজীপুর হাই সিকিউরিটি সেলে সেই তুফান

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১৯:১১

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়ার ধর্ষক তুফানকে শনিবার বিকালে গাজীপুর হাই সিকিউরিটি সেলে পাঠানো হয়েছে। বগুড়ার জেলখানায় মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মে জড়িত হওয়ার অভিযোগে তাকে স্থানান্তর করা হলো।

গতকাল ১৮ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে তুফানের জেলে রাজকীয় জীবন যাপনের সংবাদ প্রকাশ হওয়ার ঘটনা তদন্তে হেড কোয়াটারের নির্দেশে রাজশাহী ডিআইজি প্রিজন আলতাফ হোসেন তদন্ত করতে বগুড়ায় এসেছেন।

বগুড়া জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন তুফানকে গাজীপুর হাই সিকিউরিটি সেলে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া শহরের বাদুড়তলা এলাকায় বসবাসকারী এক চা বিক্রেতার কিশোরী  কন্যাকে সরকারি কলেজে ভর্তি করে দেয়ার কথা বলে গত ১৭ জুলাই তুফান ওই কিশোরীকে বাসায় ডেকে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে  চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনাটি ওই কিশোরীর মা জানতে পারে এবং বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে তুফান সরকারের স্ত্রীর কানে যায়। এরপর তুফান সরকারের স্ত্রী আশা খাতুন তার বড় বোন পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের  নারী কাউন্সিলর  মারজিয়া হাসান রুমকি এবং তার মা রুমী বেগম ওই কিশোরীর বাড়িতে যায়। তারা ধর্ষণের ঘটনার বিচার করে দেয়ার কথা বলে ধর্ষিতা ও তার মা মুন্নী বেগমকে পৌর কাউন্সিলর রুমকীর  অফিস চকসুত্রাপুরে নিয়ে আসে। সেখানে বিচারের নামে ধর্ষিতাকে পতিতা আখ্যায়িত করে এবং  মেয়েকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর উল্টো অভিযোগ আনা হয় মুন্নী বেগমের বিরুদ্ধে। এরপর তুফান সরকারের কয়েকজন সহযোগী লাঠি পেটা করে  মা ও মেয়েকে। এতেও তারা ক্ষ্যন্ত না হয়ে নাপিত ডেকে এনে মা-মেয়েকে প্রথমে মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তুফান সরকারের স্ত্রীর নির্দেশে তাদের মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়। এই ঘটনা দেশ ব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। বর্তমানে ওই কিশোরী সেভ হোম এবং মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/প্রতিনিধি/জেডএ)