‘বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল?’

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে তার নাম জানতে চেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের পর্যবেক্ষণে একক কারও নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়নি বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির কাছে আমার প্রশ্ন  বঙ্গবন্ধু ছাড়া দ্বিতীয় কোন নেতার ডাকে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে? আমরা তার নাম জানতে চাই। 

শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর লেখা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুটো বইয়ের ওপর আলোচনা ও পদক প্রদান উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজক ছিল মাদার তেরেসা রিসার্চ কাউন্সিল।  

মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ওপেন কোর্টে বলেছেন যে, তিনি দিনে পিচ কমিটি করতেন আর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা করতেন। এটাকে বলা হয় মোনাফেকি। এখন তার স্বভাবচরিত্র পরিবর্তন হয়েছে কিনা কে জানে।’

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই ও কবিতার কথা তুলে ধরে মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি বই লেখা হয়েছে। কয়েক হাজার কবিতা লেখা হয়েছে। পৃথিবীতে আর কোনো নেতার নামে এত বই বা কবিতা লেখা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যতবার বাজানো হচ্ছে। যত মানুষ শুনছে, পৃথিবীতে আর কোনো নেতার বক্তৃতা এতবার প্রচারিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ বিশ্বের সেরা ভাষণের একটি।’   

বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক স ম রেজাউল করিম বলেন, ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের অপব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপি ও জামায়াত চক্র রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি চক্রই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।  ওই হামলাকে আমি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বলব না। ওই হামলা তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সংক্রিয় অংশগ্রহণে হয়েছে।  এদের চক্রান্ত এখনও থেমে নেই। বাংলাদেশকে ভালো রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে ভালো রাখতে হবে। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে। আমরা ভালো থাকবো।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী তাঁর লেখা বঙ্গবন্ধু বিষয়ক দুটো বই সম্পর্কে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে গুণিজনদের মধ্যে মাদার তেরেসা মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড-২০১৭ প্রদান করা হয়। ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক এই সময় সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর সম্মাননা পদক পেয়েছেন।

মাদার তেরেসা রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গোলাম কাদেরের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন ডা. ইসরাত জাহান নীনা, কবি মিলন সব্যসাচী প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/ ১৯ আগস্ট/ এইচএফ)