‘হামা এক বেলা খেয়া কোন মতন বাঁচি আছি’

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৭, ২১:৫৪

কালিগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হঠাৎ বন্যায় নিজের পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। ভেসে গেছে বাড়িসহ সবকিছুই। এই বন্যায় ত্রাণ বলতে কিছুই পায়নি, পেয়েছি শুধু এক টোপলা খিচুরি। তাই ছেলেমেয়েকে নিয়ে এক বেলা খেয়ে কোন রকম বেঁচে আছি। এভাবেই বাড়ির কাজ করছেন আর বলছেন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের ছালেহা বেগম।

শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের ছালেহা বেগম বন্যায় ভেঙে যাওয়া বাড়িঘরগুলো নিজেই মেরামত করছেন। ওই গ্রামের রিক্শাচালক আব্বাস আলীর স্ত্রী তিনি।

আব্বাস আলী ঢাকায় গেছেন রিক্শা চালাতে। তাই বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে ভাঙা ঘরের কাজ করছেন ছালেহা বেগম।

ওই এলাকার বানভাসি ফরিদা বেগম ভেসে যাওয়া ঘরের টিন খুঁজে বের করে আবারও বাড়ি মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান নদীর পানি কমে যাওয়ায় জেলার পাঁচটি উপজেলার মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করছেন। বাঁচার তাগিদে বানভাসিদের আবারও ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছেন।

এদিকে বন্যার্ত হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী হাইস্কুল মাঠে সেনাবাহিনীর একটি মেডিকেল টিম বন্যার্তদের সেবায় স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দিচ্ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, বন্যার্ত পরিবারে জন্য মাত্র ৬ টন চাউল, শুকনো খাবার বরাদ্দ পেয়ে ১২শ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে- যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবল বন্যার কারণে লালমনিরহাটে ১০৮ আশ্রয়কেন্দ্র প্রায় ৩০ হাজার মানুষ  আশ্রয় নিয়ে বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)