হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
নেত্রকোণা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক ও সেবিকার বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
শনিবার ভোরে নবজাতকটির মৃত্যুর ঘটনা হয়েছে বলে জানান মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে বাকী ইভান।
তিনি বলেন, জেলার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নে তারাচারপুর গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী হোসনা আক্তারের প্রসব করানোর সময় মৃত অবস্থায় শিশুর জন্ম হয়েছে। এ নিয়ে শিশুটির বাবা সুমন মিয়া ঘটনার সময় হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকা ও সেবিকার অবহেলায় সন্তানের মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে হাসপাতালের চিকিৎসক আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাদের দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেন তিনি।
সুমন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, শনিবার ভোরে স্ত্রী হোসনার প্রসব ব্যথা শুরু হলে দ্রুত মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর হাসপাতালে কর্তব্যরত কোন চিকিৎসক না থাকায়, জ্যেষ্ঠ সেবিকা অসিমা রায় রোগীকে ডেলিভারি কক্ষে নিয়ে যান। এসময় চিকিৎসকের জন্য উদ্বিগ্ন হলে সেবিকা অসিমা রায় জোর দিয়ে বলেন, প্রয়োজন নেই। আমিই যথেষ্ট। বারবার চিকিৎসকের কথা বললেও তা উপেক্ষা করে ডেলিভারি রুমে নিয়ে যান সেবিকা।
ঘন্টাখানেক পর নার্স তার সহযোগী হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী নুরনাহারকে নিয়ে ডেলিভারি কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে জানান, মৃত ছেলে সন্তান প্রসব হয়েছে।
এসময় ডেলিভারি কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, সন্তানের মাথা থেতলানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। অপর দিকে হোসনা আক্তার অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছে।
সুমন মিয়া আরো অভিযোগ করেন, নার্স অসিমা আমার নিকট দুই হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। ঘটনার সময় হাসপাতালে ডাক্তার থাকলে আমার সন্তান মরত না। এই হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সের গাফিলতির কারণেই আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে বাকী ইভান বলেন, শুক্রবার রাতে থেকে শনিবার ঘটনার সময় দায়িত্বে ছিলেন, চিকিৎসা কর্মকর্তা শাকের তৌফিক। কিন্তু ঘটনার পরপর আমি এসে হাসপাতালে শাকের তৌফিককে পাইনি।
(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)