প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় বন্যার্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
 | প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০১৭, ১০:২৪

গত কয়েকদিন ধরে চলা বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আজ রবিবার দিনাজপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখান থেকে তিনি কুড়িগ্রামেও যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এরই মধ্যে জেলা দুটির প্রশাসন প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে ত্রাণ বিতরণ করবেন বলে দুর্গতদের তালিকা শেষ হয়েছে। এখন বন্যার্তরা অপেক্ষায় করছেন কখন প্রধানমন্ত্রী বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসবেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দিনাজপুরে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং দিনাজপুর জিলা স্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন।

এরপর তিনি কুড়িগ্রাম জেলা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং পাঙ্গারানী লক্ষীপ্রিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন। ত্রাণ বিতরণ শেষে প্রধানমন্ত্রী ওই দিন বিকালে ঢাকায় ফিরবেন।

চলতি মাসের শুরু থেকে মৌসুমের দ্বিতীয় দফার বন্যায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কমপক্ষে ২২টি জেলার ১২২টি উপজেলা ও ৩৮টি পৌরসভা এখন বন্যায় প্লাবিত।

দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) গোলাম রাব্বী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনাজপুরের সদর এবং বিরল উপজেলায় বন্যা কবলিত দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও তিনি নিজ হাতে বন্যার্তদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবেন। এসময় তিনি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুর সদর ও বিরল উপজেলায় বন্যা দুর্গত এলাকায় যাবেন এবং ত্রাণ বিতরণ করবেন। দুপুরে পরে তিনি সেখান থেকেই কুড়িগ্রাম যাবেন।’

চলতি বছর তৃতীয়বারের মত বন্যায় আক্রান্ত দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল। প্রথমে এপ্রিলের আগাম বন্যা, এরপর জুন আর সবশেষ গত মাসের শেষ দিক থেকে চলা বন্যায় বিপর্যন্ত কোটি মানুষ। এর মধ্যে সাম্প্রতিককালে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।

এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে পানিতে ডুবে মারা গেছে ৯২ জন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্যায় এত বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বন্যায় এ পর্যন্ত ২২ জেলার ৩৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানিয়েছে।

এবারের বন্যা ১৯৮৮ সালের পরিস্থিতিকে ছাপিয়ে যেতে পারে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা অববাহিকা বিপদসীমা অতিক্রম করলেও পদ্মা ও মেঘনা অববাহিকা বিপদসীমার নীচে অবস্থান করছে। আর এক সঙ্গে তিন প্রধান নদী বিপদসীমা অতিক্রম না করলে সেটাকে বড় বন্যা বলে না। আর এই তিন নদী এক সঙ্গে বিপদসীমা অতিক্রম করবে, এই আশঙ্কাও আপাতত নেই।

তবে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উত্তরের বিভিন্ন জনপদ পানির নিচে থাকায় সেখানকার পরিস্থিতি দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণের ব্যবস্থা করলেও সেটা পর্যাপ্ত নয় বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ত্রাণকাজে গতি আনবে বলে আশা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশে আসছে চীন আর্মি, নজর রাখছে ভারত

বাংলাদেশে বৃষ্টির নামাজের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

ন্যাপ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান

রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস

উপজেলা নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ইসির

‘পৃথিবীর কোনো দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি পারফেক্ট নয়’  

ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল ব্যবহার বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ

কৃষির সব স্তরে উন্নত প্রযুক্তি আবশ্যক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়: রাষ্ট্রদূত

চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :