শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: দণ্ড কার্যকর গুলি করে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে, তা কার্যকরের আদেশ এসেছে ফায়ারিং স্কোয়াডে। এর আগে বিচারিক আদালতেও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে দণ্ড কার্যকরের নির্দেশ এসেছিল ফায়ারিং স্কোয়াডে।
২০০০ সালে গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় হামলার উদ্দেশ্যে পুঁতে রাখা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় ১৭ বছর পর রবিবার সকালে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম।
বিচারক তার আদেশে বলেন, ‘১৯৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (১) (এ) (বি) (সি)/২৫/(ডি) দোষী সাব্যস্তক্রমে উক্ত ধারামতে তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত পদ্ধতি মোতাবেক গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।’
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন।
সামরিক আদালতে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ ফায়ারিং স্কোয়াডে এলেও বেসামরিক আদালতে প্রথমবারের মতো এই নির্দেশ আসে তখনই। যদিও উচ্চ আদালতে নানা আইনি প্রক্রিয়া শেষে যে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয়েছিল, তাদের দণ্ড কার্যকরের আদেশ আসে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে। পরে পাঁচ জনের দণ্ড কার্যকর হয় ফাঁসি দিয়েই। বাকি সাত জনের মধ্যে এক জন বিদেশে মারা গেছেন। অন্য ছয় জন এখনও পলাতক।
শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ফায়ারিং স্কোয়াডে দণ্ড কার্যকরের আদেশ দেয়ার বিষয়ে রায়ে কিছু বলেননি বিচারক। ফৌজদারী কার্যবিধিতেও এই বিষয়টির উল্লেখ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আদালত ফায়ারিং স্কোয়াডে দণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছে। কিন্তু বলা হয়েছে এই দণ্ড হাইকোর্টের অনুমোদ সাপেক্ষে কার্যকর হবে। তার মানে হাইকোর্ট যেভাবে বলবে, সেভাবেই দণ্ড কার্যকর হবে।’
ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/এমবি/ডব্লিউবি