‘পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি ২৮ তারিখ থেকে পর্যায়ক্রমে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ আগস্ট ২০১৭, ১৫:১৪ | প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০১৭, ১৫:০৫

ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবারও এক দিনে না দিয়ে পোশাক কারখানায় পর্যায়ক্রমে ছুটি ঘোষণার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি জানান, ২৮ আগস্ট থেকে এই ছুটি দেয়া শুরু হবে।

রবিবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ঈদুল আযহা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে এ সভা হয়।

২ সেপ্টেম্বর ঈদ হলে ছুটি শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। আর ৩ সেপ্টেম্বর ঈদ হলে ছুটি শুরু হবে ২ সেপ্টেম্বর থেকে। পোশাক কারখানায় এর আগে থেকে ছুটি হলে শ্রমিকরা ভাগে ভাগে বাড়ি যেতে পারবে এবং সে ক্ষেত্রে এক সঙ্গে চাপটা কম পড়ে বিধায় গত কয়েক বছর ধরে একটু আগেভাগে পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং এর সুফলও মিলেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে সড়কে যানজট নিরসনে আগামী ২৮ তারিখ থেকে পর্যায়ক্রমে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছুটি দেয়া হবে। এর পূর্বেই তাদের বোনাস দিয়ে দেয়া হবে। যাওয়ার আগে বেতন ও অন্যান্য পাওনা মালিকরা শ্রমিকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে পরিশোধ করবে।’

সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজি, কোস্টগার্ডের প্রধান, বিজিবি প্রধান, আনসার প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থাদের প্রধান নির্বাহীরা, এফবিসিসিআই এর সভাপতি, বিজিএমই এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বিকেএমই এর সভাপতি এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভাশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদে যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক পুলিশ আটকাবে না।

‘আমরা ঈদের তিন দিন আগ থেকে নদী পথে কোন বালুবাহী ভেসেল যেতে দেব না। একইসাথে জরুরি খাদ্য, এক্সপোর্ট, মেডিসিনের গাড়ি এবং পশুর গাড়ি ছাড়া সড়ক পথে অন্য কোনো গাড়ি চলবে না।’

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

মন্ত্রী জানান, ঈদের ছুটিতে ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তার জন্য মার্কেটগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা এবং মহাসড়কে প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে সেদিকে নজর দেয়ার জন্য আমরা হাইওয়েসহ সব জায়গায় ব্যবস্থা নেব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের সময় শিল্পাঞ্চলসহ সারাদেশে ফায়ার সার্ভিসের ৯৫টি ফায়ার টহল থাকবে। প্রতিবারের মত এবারও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। সকল ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে ফায়ার রেসকিউ টিম অবস্থান করবে।’

ঢাকাসহ সারাদেশের ঈদের জামাতের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের জামাতগুলোতে যাতে করে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা খেয়াল রাখব।’

‘বিভিন্ন লঞ্চ এবং ফেরিঘাটে আনসার মোতায়েন থাকবে। সারা নৌপথে কোস্টগার্ডের টহল থাকবে যাতে ভাঙ্গাচুরা লঞ্চ বের হতে না পারে। ওভারলোড যাতে না করতে না পারে সেদিকে নজর থাকবে। আমাদের নৌ পুলিশ প্রত্যেকটা টার্মিনালে অবস্থান করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, মলমপার্টি সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ অভিযান চলছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।’

হাটে জালনোট শনাক্তে মেশিন

কোরবানির হাটে জালনোটের বিস্তার ঠেকাতে গত দুই বছরের মত এবারও মেশিন বসানোর কথা জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সকল জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পশুর হাটে এসব মেশিন থাকবে।

ঢাকা মহানগরীতে ২৩টি পশুর হাট থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি হাটে পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। নির্দিষ্টস্থানে সিসি ক্যামেরা থাকবে। পশুর হাটে গরুর হাসিলের তালিকার তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে, যাতে করে কেউ বেশি হাসিল আদায় করতে না পারে।’

ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/এমএম/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :