নাটোরে ভেসে গেছে নয় শতাধিক পুকুরের মাছ

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০১৭, ১৮:১৬

নাটোরের তিন উপজেলায় দিন দিন বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। সিংড়া, গুরুদাসপুর এবং নলডাঙ্গায় গত পাঁচ দিনে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে নয় শতাধিক পুকুরের মাছ। বন্যা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখন পর্যন্ত স্থানীয় মৎস্য বিভাগ ১২ কোটি টাকার ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব পুকুর নিমজ্জিত হয়নি সেসব পুকুরের মাছ রক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা।

পুকরে মাছ চাষিরা বলছে, হঠাৎ বন্যার কারণে রাতারাতি পুকুরের মাছ বন্যার পানির সাথে ভেসে গেছে। অনেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তবে বন্যায় মাছ চাষিদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলা মোট ২২ হাজার পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে সিংড়া উপজেলায় ছয় হাজার পুকুরের মধ্যে এখন পর্যন্ত বন্যার পানিতে সাত শতাধিক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এছাড়া নলডাঙ্গা উপজেলায় বারনই নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে ৬০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এই উপজেলায় ক্ষতি পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে সাত লাখ ২০ হাজার এবং গুরুদাসপুরে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ৪১টি পুকুরের মাছ। ক্ষতি পরিমাণ ধরা হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ টাকা।

সিংড়া উপজেলার রাণী নগর গ্রামের মাছ চাষি আত্তাব আলী বলেন, তার ২২ বিঘার ছয়টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে মোটামুটি ১১ লাখ টাকা তার ক্ষতি হয়েছে। আরও তিনটি পুকুরও নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম। বন্যার পানি বাড়লে সেগুলোও তলিয়ে যাবে।

আরেক মাছ চাষি গোলাম হোসেন জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে তার চারটি পুকুরের মাছ সম্পূর্ণভাবে ভেসে গেছে। এতে তার পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা না পেলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়বে।

সিংড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ওমর আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলের সিংড়ার অধিকাংশই মৎস্য চাষি। হঠাৎ বন্যায় এই উপজেলার সাত শতাধিক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষতি ১১ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তবে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

নাটোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিদের তালিকা অব্যাহত রেখেছি। বন্যার পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই ভেসে যাচ্ছে নতুন নতুন পুকুরের মাছ। এতে চাষিরা লাখ লাখ টাকার ক্ষতি শিকার হচ্ছে। মাছচাষিদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর যদি কোনো অনুদান পাওয়া যায়, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :