পূর্ব-উত্তর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল সমীক্ষার অর্থ বরাদ্দ

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৭, ২০:০২

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আরও দুটি রেলপথ সংযোগ স্থাপন করা হবে। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলোর সঙ্গে বিলোনিয়া-ফেনী এবং সাব্রুম-চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেললাইন সমীক্ষার কাজ শিগগির শুরু হচ্ছে। ভারত কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যেই এই সমীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুরি দিয়েছে। ত্রিপুরাসহ পূর্ব-উত্তর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেলসংযোগ নিয়ে আগামী ২৮ আগস্ট ঢাকায় উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের যৌথ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ত্রিপুরার দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় রবিবার প্রকাশিত খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যে রেলসংযোগের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বিলোনিয়া-ফেনী এবং ওই বছরের ডিসেম্বর কিংবা ২০১৯ সালের প্রথম দিকে ত্রিপুরা রাজ্যের একেবারে প্রান্তিক শহর সাব্রুম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেল চলাচলের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার।

জানা গেছে, ত্রিপুরার বেলোনিয়ায় প্রস্তাবিত রেলস্টেশন থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার  দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত। সেখান থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে ফেনী রেলস্টেশন। বিলোনিয়া থেকে ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলসংযোগ স্থাপন হলে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও চট্টগ্রাম নৌবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আদান-প্রদান সহজভাবে করতে পারবে ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এই রেলপথ সংযোগ করতে বাংলাদেশের ভেতরে জমি জরিপের কাজ করার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে কেন্দ্রীয় রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ভারতের নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে (এনএফআর) প্রধান প্রকৌশলী হারপাল সিং রাজ্যের গণমাধ্যমকে জানান, ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের রেলসংযোগ স্থাপিত হলে শুধু ত্রিপুরাই নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতই উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, ত্রিপুরা, মণিপুর বা মিজোরাম হয়ে মিয়ানমার দিয়ে ট্রান্স এশিয়া রেল মানচিত্রে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করা হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করে বলেন, ত্রিপুরা থেকে মাত্র ৯৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করলেই পৌঁছানো যাবে মিয়ানমার। ভারত সরকারের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির লক্ষ্যেই এই রেলপথ নির্মাণে সমীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ ত্রিপুরার বেলোনিয়া থেকে চট্টগ্রাম হয়ে মিয়ানমারকে সংযুক্ত করবে এই রেলপথ। ইতোমধ্যে এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে অর্থায়নের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

হারপাল সিং বলেন, এই প্রকল্পে ভারতের অভ্যন্তরে আরও একটি স্বল্প দূরত্বের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ সংযোগের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগের জমি অধিগ্রহনের কাজ দু’দেশের সংশ্লিষ্ট অংশই প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগের কাজ শুরু হবে।

আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৬শ’ কিলোমিটার। কিন্তু আগরতলা থেকে গৌহাটি হয়ে কলকাতার দূরত্ব দেড় হাজার কিলোমিটার। তাই বাংলাদেশ হয়ে অল্প সময়ে আগরতলা থেকে কলকাতা যাওয়া সম্ভব হবে। এতে অর্থ ও সময় উভয় সাশ্রয়ী হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)