দুদকের মামলায় কেয়া গ্রুপের মালিক গ্রেপ্তার
দুদকের দায়ের করা আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন কেয়া গ্রুপের মালিক আবদুল খালেক পাঠান।
রবিবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের নামে কৃষি ব্যাংক থেকে ১১১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় খালেক পাঠানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম বাদী হয়ে রবিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। এর পরপরই অভিযানে নামেন দুদক কর্মকর্তারা।
কেয়া গ্রুপের কর্ণধার খালেক কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এই মামলায় কেয়া ইয়ার্নের চেয়ারম্যান খালেদা পারভীন পলি, দুই পরিচালক মাসুম পাঠান ও তানসিন কেয়াসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান প্রণব ভট্টাচার্য্য।
চেয়ারম্যান খালেদা এবং পরিচালক মাসুম ও তানসিন কেয়া গ্রুপের মালিক খালেকের তিন সন্তান। অন্য আসামিরা হলেন- কৃষিব্যাংক কারওয়ান বাজার করপোরেট শাখার সাবেক এজিএম মো. সারোয়ার হোসেন, সাবেক ডিজিএম ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. জুবায়ের মনজুর, সাবেক এসপিও মো. আবুল হোসেন ও সাবেক এসপিও গোলাম রসুল।
কেয়া ইয়ার্ন মিলের কারখানটি গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুনে অবস্থিত। এটি কাঁচা তুলা আমদানি করে সুতা উৎপাদন করে তৈরি পোশাক কারখানায় সরবরাহ করে থাকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কৃষিব্যাংকটির ওই শাখা প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদিত সীমার বাইরে গিয়ে কেয়া ইয়ার্নকে একের পর এক ‘ফরেন ডেফার্ড এলসি’র বিলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত না থাকায় তা জামানতবিহীন ঋণে পরিণত হয়, যার আদায় অনিশ্চিত।
এছাড়া আমদানি করা মালামাল দিয়ে উৎপাদিত পণ্য ব্যাংকটির মাধ্যমে রপ্তানি না করে জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১০ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২০১১ সালের ২১ জুলাই পর্যন্ত জালিয়াতির মাধ্যমে ওই ঋণ নিয়ে আত্মসাত করা হয় বলে এজাহারে বলা হয়।
কেয়া গ্রুপের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান কেয়া কসমেটিকসের সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে শুধু তাদেরই ঋণের পরিমাণ সাড়ে ১৩শ কোটি টাকার বেশি।
(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/এএ/জেবি)