হত্যা মামলার আসামি চুয়াডাঙ্গার সেই যুবলীগ নেতা লিটন গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ আগস্ট ২০১৭, ২১:০৭ | প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০১৭, ২০:৫৫

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আলোচিত আরিফুল ইসলাম ওরফে রুবেল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান লিটনকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে গোপালপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অথচ এই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি হওয়া শর্তে দীর্ঘ ছয় বছর দম্ভ নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেন।

সম্প্রতি পুলিশ সুপারের সাথে গণমাধ্যম কর্মীদের একটি মতবিনিময় সভায় একজন সংবাদকর্মী বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার কলাবাড়ি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আরিফুল ইসলাম ওরফে রুবেলকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এর একদিন পর তার লাশ পাশের গোপালপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত রুবেলের পিতা আব্দুল খালেক বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান লিটনসহ ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

আলোচিত এই হত্যা মামলাটি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, হত্যা মামলার আসামি মিজানুর রহমান লিটনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও সে আদালতে হাজির হয়নি। দীর্ঘ ছয় বছরে কোনদিন জামিনের প্রার্থনাও করেননি।

আদালত মিজানুর রহমান লিটনকে হাজির হওয়ার জন্য ২০১৫ সালে ১১ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরও লিটন আদালতে হাজির হয়নি।

স্থানীয়রা জানায়, আলোচিত হত্যা মামলার আসামি হওয়া শর্তেও দীর্ঘ ছয় বছর পর জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য প্রভাবশালী এই যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান লিটনকে রহস্যজনক কারণে পুলিশ গ্রেপ্তার করত না। অথচ ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে এই যুবলীগ নেতা অনেকটা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াত।

সম্প্রতি সে চুয়াডাঙ্গা শহরের চাঁদমারী মাঠের কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করলেও পুলিশের খাতায় সে ছিল পলাতক।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ জানান, লিটন হত্যা মামলার পলাতক আসামি এটা আমার জানা ছিল না। পুলিশ সুপারের নির্দেশের পর বিষয়টা আমি অবহিত হবার পর তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া শুরু করি। এক পর্যায়ে রবিবার সকালে গোপন সংবাদে তাকে নিজ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করি।

গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান লিটন দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের সালাউদ্দিন মজনুর ছেলে।

পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন জানান, বিষয়টি আমি জানার পর পুলিশ কর্তা হিসাবে আমি হতবাক হয়েছি। এরপর কঠোর নির্দেশ দিয়েছি তাকে গ্রেপ্তারের। তিনি জানান, মিজানুর রহমান লিটনকে কেন এবং কি কারণে কার ইশারায় গ্রেপ্তার করা হতো না, পুলিশের কার কার সাথে তার সখ্য ছিল তা অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :