পিজিসিবির সাবেক প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০১৭, ২১:২৯

১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে বরিশাল পিজিসিবির সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

রবিবার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন বরিশালের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মতিউর রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ১৭।

মামলায় আসামিরা হলেন বরিশাল পিজিসিবি এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (বর্তমানে খুলনা পাওয়ার হাউসের গ্রিড সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) ও পটুয়াখালীর গলাচিপার ডাকুয়া এলাকার সত্য নারায়ন ভূঁয়ার ছেলে লক্ষী নারায়ণ ভূঁয়া, পিরোজুপরের ভান্ডারিয়ার গ্রিড উপকেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ও নগরীর কাজিপাড়া এলাকার হাসমত আলী গাজীর ছেলে মো. হানিফ হোসেন গাজী এবং খুলনা পিজিসিবি গ্রিড সার্কেলের সাবেক সিকিউরিটি পরিদর্শক (বর্তমানে আফতাব নগরের রামপুরায় ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারে কর্মরত) ও বাগেরহাটের দশানী এলাকার মৃত আ. রশিদের ছেলে আনোয়ার হোসেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, লক্ষী নারায়ণ ভূঁয়া নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পিজিসিবি, জিএমডি বরিশালে দায়িত্ব পালন কালে অসৎ উদ্দেশ্যে মো. আতাউর রহমান, প্রো. মেসার্স রহমান এন্টারপ্রাইজ এর নামে দাখিলকৃত দরপত্রে মো. আতাউর রহমানের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে ও দরপত্রটি রেসপনসিভ দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে গ্রহণ করে। আতাউর রহমান তার প্রতিষ্ঠানের জাল দরপত্রটি গ্রহণ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরিশালের আওয়াতাধীন ভান্ডারিয়া গ্রিড উপকেন্দ্র হতে কঁচা নদীর পূর্ব পাড়ের পয়েন্ট পর্যন্ত বিদ্যমান ও পরিত্যক্ত ১৩২ কেভি সঞ্চালনের লাইনের মালামাল বিক্রির জন্য প্রতারণামূলক লোকদেখানো বর্নিথ কার্যাদেশটি জ্ঞাতসারে প্রকৃত ব্যক্তির হাতে না পৌঁছায়, সে জন্য অফিস সহকারীকে দিয়ে কার্যাদেশটি তার পূর্ব পরিচিত তুহিন নামের এক ব্যক্তিকে প্রদান করেন। তিনি আতাউর রহমানের মেসার্স রহমান এন্টাপ্রাইজের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে দরপত্রে বর্ণিত কাজের উদ্ধারকৃত মালামাল ২০১৫ সালের ৩০ মে স্টোরে জমা নেয়ার মামলামালের গ্রহণ করার বিষয়ে সহকারী ব্যবস্থাপক টেকিনিক্যাল (হানিফ হোসেন গাজী) কে মার্ক করে প্রকৃত দরপত্রদাতার কাছ থেকে মালামাল গ্রহণের প্রক্রিয়া দেখিয়ে এজাহারে বর্ণিত এক কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৭ টাকার মালামাল তার অধীনস্থ অপর দুই আসামির সাথে ষড়যন্ত্র করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আত্মসাৎ করেন।

এর আগে আতাউর রহমানকে ফাঁসাতে তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সে মামলায় অভিযুক্ত আতাউর রহমানকে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়।

এ কর্মকাণ্ডের সাথে লক্ষী নারায়ণ ভূঁইয়া, হানিফ হোসেন গাজী ও আনোয়ার হোসেন জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়ে বলে জানান দুদকের উপ পরিচালক মতিউর রহমান।

(ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/টিটি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :