গ্রেনেড হামলা: ২০১৭-তে খুলবে বিচারের জট?

মোসাদ্দেক বশির, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০১৭, ০৮:০৯

প্রকাশ্যে হামলা, প্রাণ গেছে ২৪ জনের, স্লিন্টারের আঘাতে অঙ্গহারা আরও বহু মানুষ, প্রাণ যেতে পারত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। সাম্প্রতিক ইতিহাসে পৃথিবীতে রাজনৈতিক সমাবেশে একবড় হামলা বিরল। তার চেয়ে কম বিস্ময়ের নয় ১৩ বছরেও এই মামলার বিচার না হওয়া। যদিও রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে চলতি বছরই বিচারিক আদালতে জট খুলবে এই মামলার।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের আজকের দিনটি বিভীষিকা হয়ে ধরা দেয় বাংলাদেশের মানুষের কাছে। সে সময়ের প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলায় বলতে গেলে অলৌকিকভাবেই বেঁচে যান দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। তাকে বাঁচাতে নেতা-কর্মীরা মানববর্ম হয়ে না দাঁড়ালে পরিণতি কী হতো, সেটা তাদের গায়েরি স্প্লিন্টারগুলোর সংখ্যাই শিহরণ জাগায়।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মামলাটি ভিন্নপথে ঘুরিয়ে অপরাধীদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। পরে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একবার তদন্ত এবং এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছে অধিকতর তদন্ত। কিন্তু আদালতে নানা কারণে ঝুলে গেছে বিচার।

বিচার কোন পর্যায়ে

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলা দুইটি বর্তমানে সাফাই সাক্ষী গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে কারাগারে থাকা ২৩ জন আসামির মধ্যে ছয়জন আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আর দুইজন আসামির পক্ষে আটজনের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা আছে।

মামলা দুইটিতে কারাগারে থাকা ২৩ জন আসামি এবং জামিনে থাকা আটজন আসামি সাফাই সাক্ষ্য প্রদানের সুযোগ পাবেন। সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রাষ্ট্র এবং আসামি পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষেই রায় ঘোষণা করবে ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার বিচার পরিচালনা করছেন। ২২ আগস্ট মামলা দুইটিতে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

মামলা নিষ্পত্তিতে দেরি হওয়ার কারণ বিষয়ে এ দুই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, ‘প্রথমে মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে চার্জশিট হলেও তা সম্পূর্ণ ছিল না। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলা দুইটি অধিকতর তদন্তে যায়। দুই দফা তদন্তেই ছয় বছর সময় ব্যয় হয়। এছাড়া আসামিপক্ষ বিচার বিলম্বের বিভিন্ন আদেশের বিরুদ্ধে কয়েকদফা উচ্চ আদালতে যওয়ায় ২৯২ কার্যদিবস সময় ব্যয় হয়। অন্যদিকে আসামিপক্ষ সাক্ষ্য গ্রহণে সময়ক্ষেপণের জন্য সাক্ষীদের অপ্রাসঙ্গিক জেরা করায়ও অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। আসামিপক্ষ এভাবে সময় নষ্ট না করলে আরও অনেক আগেই বিচারকাজ শেষ হওয়া সম্ভব ছিল।’

রেজাউর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। তাই নির্দিষ্ট করে বিচার শেষ হওয়ায় দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়। তবে আশা করছি ন্যায় বিচার সমুন্নত রেখে চলতি বছরের মধ্যেই অবশিষ্ট বিচারকাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।’

অন্যদিকে মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর আইনজীবী বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ মামলা দুইটি বিচার শেষ করতে তড়িঘড়ি করছেন। তারা বিচার শেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের সাজা দেওয়া চেষ্টা করছেন। যদিও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই।’

মামলা দুটির অভিযোগপত্রে পুলিশ সাক্ষী করেছিল ৪৯১ জনকে। তবে গত ৩০ মে ২২৫ জনে সাক্ষ্য শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে। এরপর গত ১২ জুন মামলাটিতে জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি শুরু হয়। যা গত ১১ জুলাই শেষ হয়।

আত্মপক্ষ শুনানিতে ৩১ আসামিই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর এরপর গত ১২ জুলাই আসামিদের সাফাই সাক্ষ্য শুরু হয়।

তিনবার তদন্ত

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে ঘটনার দিন পুলিশ বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)। শুরু থেকেই ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীরকোট গ্রামের বাড়ি থেকে জজ মিয়া নামের এক যুবককে সিআইডি আটক করে। ১৭ দিন রিমান্ডে থাকার পর জজ মিয়া ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন। বলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড মারতে এসেছেন। তবে পরে তা মিথ্যা প্রমাণ হয়।

ঘটনা তদন্তে ২০০৪ সালের ২৪ আগস্ট বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে চেয়ারম্যান করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনও করে চারদলীয় জোট সরকার। সেই কমিশন ১০ দিনের মাথায় সরকারের কাছে ১৬২ পাতার প্রতিবেদন দেয়। যেখানে ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়, প্রতিবেশী একটি দেশে এই হামলার মহড়া হয়েছে। সে সময় তার এই প্রতিবেদন রীতিমতো হাসির খোরাক হয়।

২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। এতে ২০০৮ সালের ১১ জুন ২২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। ওই বছর ২৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ট্রাইব্যুনাল। ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে অধিকতর তদন্তের নির্দশ দেয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। ২০১১ সালের ৩ জুলাই অধিকতর তদন্ত শেষে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমাসসহ আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নতুন ৩০ আসামির অভিযোগ গঠন করার পর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

আসামি যারা

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া নেতা আলী আহসান মোহম্মাদ মুজাহিদ,চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান প্রমুখ এই মামলার আসামি।

আসামিদের মধ্যে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।

অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা মুজাহিদ এবং হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও শরিফ শাহেদুল ইসলাম বিপুলের ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

বিএনপি নেতা তারেক রহমানসহ ১৮ জন আসামি আত্মপোপনে আছেন।

বিভীষিকাময় হামলা

দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা এবং তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ‘নির্যাতন-নিপীড়নের’ প্রতিবাদে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ। বিকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খোলা ট্রাকের ওপর স্থাপিত উন্মুক্ত মঞ্চে বক্তৃতা করছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিকাল তখন ৫টা ২২ মিনিট। বক্তব্য শেষ করে শেখ হাসিনা যখন সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন, ঠিক সেই মুহূর্তে গ্রেনেড বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও এর আশপাশের এলাকা। চারদিক থেকে গ্রেনেড এসে পড়তে থাকে সভাস্থলে।

মুহূর্তের মধ্যে শান্তি সমাবেশ রক্তস্রোতে ভেসে যায়। সমাবেশস্থল পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। শত শত মানুষের চিৎকার, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকা ছিন্নভিন্ন দেহ, রক্ত আর বারুদের পোড়া গন্ধে বীভৎস এক নারকীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় সেখানে দায়িত্ব পালনরত পুলিশও রহস্যজনক আচরণ করে। আহতদের সাহায্য করার পরিবর্তে ভীত-সন্ত্রস্ত এবং আহত মানুষের ওপর বেপরোয়া লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা সেই গ্রেনেড হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু তার শ্রবণশক্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গ্রেনেড বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য ট্রাকের ওপর মানববর্ম রচনা করেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই হত্যাযজ্ঞ থেকে প্রিয় নেতাকে বাঁচাতে মরিয়া নেতাকর্মীরা দ্রুত তাকে গাড়িতে তুলে দেন। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তার পিছু ছাড়েনি। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে বের হওয়ার পথে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বুলেটপ্রুফ মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িতেও ঘাতকরা অবিরাম গুলিবর্ষণ করে।

প্রাণ হারিয়েছেন যারা

২১ আগস্টের এই গ্রেনেড হামলায় তাৎক্ষণিক যারা নিহত হন, তারা হলেন: মোস্তাক আহমেদ সেন্টু, ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ, রফিকুল ইসলাম আদা চাচা, সুফিয়া বেগম, হাসিনা মমতাজ রীনা, লিটন মুন্সী ওরফে লিটু, রতন সিকদার, মো. হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, মামুন মৃধা, বেলাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারী, আতিক সরকার, নাসিরউদ্দিন সরদার, রেজিয়া বেগম, আবুল কাসেম, জাহেদ আলী, মমিন আলী, শামসুদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, ইছহাক মিয়া এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো দুজন।

আহতদের মধ্যে ছিলেন: প্রয়াত রাষ্ট্রপতি (দলের তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য) জিল্লুর রহমান, আমীর হোসেন আমু, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফ, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, সাহারা খাতুন, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কাজী জাফরউল্যাহ, ওবায়দুল কাদের, মাহমুদুর রহমান মান্না, আবদুর রহমান, আখতারুজ্জামান, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, সাবের হোসেন চৌধুরী, আবু সাইয়িদ, রহমত আলী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌসী, সাহেদা তারেক দীপ্তিসহ পাঁচ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানও এই হামলায় গুরুতর আহত হন। তিনদিন পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/এমএবি/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট

ছাদ থেকে পড়ে ডিবি কর্মকর্তার গৃহকর্মীর মৃত্যু: প্রতিবেদনে আদালতকে যা জানাল পুলিশ

উইমেন্স ওয়ার্ল্ড: স্পর্শকাতর ভিডিও পর্নোগ্রাফিতে গেছে কি না খুঁজছে পুলিশ

জাবির হলে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে জঙ্গলে ধর্ষণ, কোথায় আটকে আছে তদন্ত?

নাথান বমের স্ত্রী কোথায়

চালের বস্তায় জাত-দাম লিখতে গড়িমসি

গুলিস্তান আন্ডারপাসে অপরিকল্পিত পাতাল মার্কেট অতি অগ্নিঝুঁকিতে 

সিদ্ধেশ্বরীতে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু: তিন মাস পেরিয়ে গেলেও অন্ধকারে পুলিশ

রং মাখানো তুলি কাগজ ছুঁলেই হয়ে উঠছে একেকটা তিমিরবিনাশি গল্প

ঈদের আনন্দ ছোঁয়নি তাদের, নেই বাড়ি ফেরার তাড়া

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :