সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ

যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে জেলার পাঁচ উপজেলার পানিবন্দি লাখো মানুষ এখনো বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ওষুধ সংকটে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রায় পৌনে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ মানুষই পাউবোর বাঁধ, উঁচু রাস্তাঘাট ও স্থানীয় স্কুল-কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রবিবার যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে আজ সোমবার সকালে তা ৭৯ সেন্টিমিটারে নেমে এসেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা পয়েন্টে যমুনার পানি ২২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, বন্যাকবলিত পাঁচটি উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০০ গ্রামের ৯৬ হাজার ৩৯৪টি পরিবারের চার লাখ ১১ হাজার ৫৫৬ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, পাঁচ হাজার ৫৪৮ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ৩৪ হাজার ৫৩টি আংশিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ও ৩০৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

১০৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৫০৫ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে ৭১৬ মেট্রিক টন চাল ও ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৗশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, যমুনা নদীর পানি কমছে। বাঁধ এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)