শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টা কেন?

শেখ আদনান ফাহাদ
 | প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০১৭, ১১:৩১

একবারও ভেবে দেখেছেন, শেখ হাসিনার ওপর কেন বারবার সন্ত্রাসী হামলা হয়? কারা হামলা করে, সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য কী? খালেদা জিয়া কিংবা এরশাদের ওপর কেন কখনো প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা হয় না? এক/দুবার নয়, এ পর্যন্ত ২০ বার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। ‘রাখে আল্লাহ, মারে কে’ বলে একটা কথা আছে; শেখ হাসিনা প্রতিবারই মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন।

আপনি আওয়ামী লীগ করেন বা বিরোধী, সেটা বড় কথা নয়। আপনি একটু ভাবুন। একজন মানুষকে কেন বারবার ভয়াবহ সব সন্ত্রাসী হামলার টার্গেট হতে হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের পরে আজ অবধি আর কোনো রাজনীতিবিদকে বাংলাদেশে এভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়নি।

১৯৮১ সালে আপনার বয়স কত ছিল? যাদের জন্ম সে সালে, তাদের বয়স এখন ৩৫ ছাড়িয়েছে, চুল পাকতে শুরু করেছে, হয়ত ৩/৪/৫ বছর বয়সী সন্তানের বাবা অথবা মা। অনেকের তখনও জন্ম হয়নি। ১৯৭১-পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই ১৯৮১ সাল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি বছর। অন্যভাবে বলা যায়, বাংলাদেশের জন্য ১৯৮১ সাল একটি টার্নিং পয়েন্ট। সম্ভাবনার যে বিশাল সূর্যকে ১৯৭৫ এ শত্রুরা ম্লান করে দিয়েছিল, সেই সূর্যই যেন ১৯৮১ সালে নতুন সম্ভাবনায় একটু একটু করে জাগতে শুরু করল। ১৯৭৫ এ বিদেশে থাকায়, আল্লাহর রহমতে বেঁচে ছিলেন শেখ হাসিনা ও আরেক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা পরিকল্পনায় সবুজ সংকেত প্রদানকারী সামরিক শাসক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান টানা ছয় বছর শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে আসতে দেননি। কত নির্মম সে সময়! শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। না জানি সেদিন, কত কষ্ট আর দুঃখ ভরা মন নিয়ে বাংলার জমিনে পা রেখেছিলেন তিনি!

আমরা এক/দুই দিন পরিবার পরিজন ছেড়ে থাকতে পারি না। আপনজনকে মুহূর্তের জন্য চোখের আড়াল হতে দিই না। সেখানে শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানার জীবনটা একটু নিজের জীবনে কল্পনা করে দেখুন। আমরা সাধারণ মানুষেরাই পরিবারকে সময় দিতে পারিনা বলে ছেলে-মেয়েদের বা প্রিয়জনের অভিযোগের শেষ নেই। সেখানে বঙ্গবন্ধু তো বলতে গেলে পুরো জীবনটাই মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। শুধু পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরের সময়কালে বাঙালির ওপর নানা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন বলে, বাঙালির স্বাধীন একটা রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলন করেছেন বলে ১৪ বছর জেলখানায় অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন। ২৫শে মার্চ, ১৯৭১ এর মধ্যরাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জাতির পিতা পুরো নয় মাস অন্ধ কারাগারে প্রতিটি মুহূর্তে নির্মম মৃত্যুর সম্ভাবনা নিয়ে কাটিয়েছেন। এদিকে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় বন্দী জীবন কাটিয়েছেন।

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন দেশের রাজধানী ঢাকায় ফেরার পর থেকেও বঙ্গবন্ধু একদিনের জন্য বিশ্রাম পাননি। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরেপেক্ষতা, রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র আর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে সমাজতন্ত্র-এ চার মূলনীতির আলোকে স্বাধীন বাংলাদেশকে ঢেলে সাজানোর কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির যুদ্ধকে জাতির পিতা ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। প্রথম মুক্তিযুদ্ধের মত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে সফল হতে তাঁর প্রচেষ্টার কোনো সীমা-পরিসীমা ছিল না। সংবিধান প্রণয়ন করেছেন ১১ মাসের মধ্যে। মুক্তিযুদ্ধকে তিনি বলতেন বিপ্লব। বিপ্লবের পর দেশের নানা স্থানে নানাবিধ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিতে যারপরনাই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরাজিত শক্তি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে প্রায় সপরিবারে হত্যা করে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট। এর কিছুদিন পর ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকেও একই ধারাবাহিকতায় হত্যা করা হয়। তাছাড়া সেনাবাহিনীর ভেতরে-বাইরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজনকে একের পর এক হত্যা করা হচ্ছিল। বিদেশে থাকায় বেঁচেছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের হাল ধরেন তিনি। এরপর থেকে একদিকে চলছে দেশ গড়ার সংগ্রাম আরেকদিকে চলছে শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেয়ার অপপ্রয়াস।

আজ ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় শেখ হাসিনা কোনোমতে প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ নেতা-কর্মী প্রাণ হারায়। আহত হয় শত শত মানুষ। এমন ভয়াল স্মৃতির দিনে, আমাদের মনে প্রশ্ন, কেন বারবার শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে হামলা করে অন্ধকারের শক্তি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন, যিনি নিজেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার শিকার, তার এক লেখায় লিখেছেন, ‘১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। বিএনপি-জামায়াতসহ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী তখন থেকেই তাকে হত্যা করতে সক্রিয়। এই পর্যন্ত ২০ বার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও দেশের জনগণের ভালাবাসার কাছে পরাজিত হয় ঘৃণ্য এই ঘাতক চক্রের সকল ষড়যন্ত্র।

এর মধ্যে ১৯৮৭ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সচিবালয়ের সামনে তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মী নূর হোসেন মারা যান। শেখ হাসিনাকে হত্যার বড় চেষ্টা চালানো হয় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। তিনি জনসভা করতে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মিছিল করে জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে মিছিলে হামলা হয়। তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেদিন প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী নিহত হন।

১৯৮৮ সালের ১৫ আগস্ট ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শেখ হাসিনা তখন ওই বাসাতেই থাকতেন। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমন্ডির গ্রিনরোডে তিনি ভোটকেদ্রে পরিদর্শনে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

১৯৯৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তাকে বহনকারী ট্রেনের কামরা লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে রাজধানীর পান্থপথে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বোমা হামলা চালানো হয়। তখন দলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে এক অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় কার্জন হল থেকে অস্ত্রধারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। এই বোমা গোয়েন্দাদের কাছে ধরা পড়ে। বোমাটি বিস্ফোরিত হলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত জনসভাস্থল। ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতুর কাজ উদ্বোধন করতে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঘাতকচক্র সেখানে বোমা পুঁতে রাখে। গোয়েন্দা পুলিশ তা উদ্ধার করে।

২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়াতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে জামায়াত–বিএনপি চক্র ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে তার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করে জামায়াত-বিএনপির ঘাতক চক্র। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য সবচেয়ে ভয়াভহ গ্রেনেড হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশস্থলে। এখানেও অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। তিনি যে ট্রাকটিতে উঠে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, সেই ট্রাকে নিক্ষেপ করা গ্রেনেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনিসহ আওয়ামী লীগের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বেঁচে গেছেন। তবে প্রাণ গেছে ২৪ জন নেতাকর্মীর। আহত ও জীবনের তরে পঙ্গু হয়েছেন সহস্রাধিক নেতাকর্মী।

শেখ হাসিনাকে হত্যার সর্বশেষ চেষ্টা হয় গত ১৫ আগস্ট । ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার থেকে দুইশ গজ দূরেই একটি হোটেলে অবস্থান নিয়েছিল এক আত্মঘাতী জঙ্গি । আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগেই টের পেয়ে তাকে ঘিরে ফেলায় জঙ্গিটি সুইসাইড বেল্ট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয়’।

বঙ্গবন্ধুর ভাব ও আদর্শ-মিত্র কিউবার গণমানুষের নেতা ফিদেল কাস্ত্রোকে তাঁর ৯০ বছরের জীবনে ৬৩৮ বার হত্যার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর চরেরা এই চেষ্টা চালায়। হত্যার ষড়যন্ত্র বেশির ভাগই করা হয় তাঁর শাসনামলের শুরুতে। বহু বিদ্রোহের পর কিউবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৫৯ সালে দায়িত্ব নেন ফিদেল কাস্ত্রো। ২০০৮ সালে তাঁর ভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেন ফিদেল।

ফিদেল ক্যাস্ট্রোর মতো আরেক সাম্রাজ্যবাদবিরোধী নেতা ভেনেজুয়েলার হুগো শাভেজকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হত্যা করেছে বলে অভিযোগ আছে। এ সম্পর্কে গার্ডিয়ান পত্রিকায় এক নিবন্ধে বলা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রাসায়নিক বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজকে। গার্ডিয়ানে প্রকাশিত নিবন্ধে সাংবাদিক রবি ক্যারল বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরে উল্লেখ করেন, আর্জেন্টিনার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নেস্টর কিরচনার আক্রান্ত হন কোলন ক্যানসারে', ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইগনাশিও লুলা ডি সিলভা আক্রান্ত হন থ্রোট ক্যনাসারে'। এ দুজনই মার্কিন বিরোধী বামপন্থি নেতা। সাংবাদিক ক্যারল এ বিষয়ে বলেন, এ দু'নেতার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে মার্কিন সিআইএ। হুগো শাভেজকেও বিষ প্রয়োগে হত্যা করে সিআইএ।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায়ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মূল ভূমিকা পালন করেছে বলে ইতোমধ্যে নানা নথি-পত্রে প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের নানা মেয়াদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানা ষড়যন্ত্র আর অসহযোগিতার ঘটনাও অনেক কিছুর ইঙ্গিত বহন করে। সর্বশেষ পদ্মা সেতু ইস্যুতে এদিকটি বেশ পরিষ্কার হয়েছে। শেখ হাসিনার উপর প্রতিটি হামলায় ঘুরে-ফিরে স্বাধীনতা-বিরোধী জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক দোসর বিএনপির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তৎকালীন আর্মির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান আত্ম-স্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুককে বলেছিলেন, ‘গো এহেড’। বিএনপি-জামায়াত শক্তির সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দহরম-মহরম দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশ্য ও প্রমাণিত।

সবকিছু হিসেবে নিলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় সিন্ডিকেট যৌথভাবে শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার অপচেষ্টা করে চলেছে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার পর বাংলাদেশের সবেচেয়ে বড় কিংবা সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে শেখ হাসিনাকে বর্ণনা করলে এতটুকু বাড়িয়ে বলা হয় না। যে কারণে জাতির পিতা ও তাঁর চার সহযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল, সে একই কারণে শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা চলছে। কুচক্রিরা মূলত ১৯৭১ এ পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়। এই সন্ত্রাসীরা জানে, শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশ আবার মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই বাংলাদেশকে স্থবির করে দিতে এরা শেখ হাসিনাকে শেষ করে দিতে চায়।

লেখক: শিক্ষক সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :