বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না সূর্যগ্রহণ

আজ, সোমবার ২১ আগস্ট যখন ভরদুপুরেই যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম থেকে পূর্ব উপকূলের সুবিস্তীর্ণ এলাকার পুরোটাই ঢেকে যাবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে, তখন বাংলাদেশের আকারে এর তেমন কোন প্রভাবই দেখা যাবে না। ৯৯ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে এই বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণটি দেখা যাবে আজ।

সর্বশেষ ২০০৯ সালের ২২ আগস্ট বাংলাদেশের পঞ্চগড় থেকে পূর্ণ গ্রাস সূর্য গ্রহণ দেখা গিয়েছিলো। পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে ১০৫ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের ওরেগন থেকে পূর্ব উপকূলের সাউথ ক্যারোলিনার শার্লেস্টন পর্যন্ত দেখা যাবে ওই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। আর কানাডা, মধ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাংশে দেখা যাবে সূর্যের খণ্ডগ্রাস। ১৯১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে শেষ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল । পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পৃথিবীর একটা বিরাট অঞ্চল জুড়ে দেখা যাওয়ার ঘটনা খুব বিরল।

নাসা জানায়, সূর্যের খণ্ডগ্রাস শুরু হবে প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত আটটা ৪৬ মিনিটে। আর তা শেষ হবে রাত ১২টা ২২ মিনিটে। পূর্ণগ্রাস সবচেয়ে বেশি ক্ষণ স্থায়ী হবে ইলিনয়ের কার্বনডেলে, দুই মিনিট ৪৪ সেকেন্ড। সকালে প্যাসিফিক উপকূলের ওরেগনের মানুষ প্রথম এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পাবেন। এরপর এটি আটলান্টিক উপকূলের সাউথ ক্যারোলিনার মানুষ দেখার সুযোগ পাবেন আরও ৯০ মিনিট পর।

পূর্ণ গ্রহণের এলাকায় দেখা দেবে সন্ধ্যার আবহ। দিনের বেলাতেই দেখা যাবে বৃহস্পতি ও শুক্রসহ বিভিন্ন গ্রহ। রাতের তারারাও উঁকি দিবে সে সময়। দিনের বেলা হঠাত্ রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসার প্রভাব পড়বে প্রাণীকুলে। পাখি, পোকামাকড় ও জন্তু-জানোয়ার হঠাত্ দিনের বেলা সূর্যের আলো কমতে থাকায় বিহ্বল হয়ে পড়ে।

আকাশের অনেক উঁচুতে নাসা ছেড়েছে ৫০ টি বেলুন, যাতে ফিট করা আছে ভিডিও ক্যামেরা। এই ক্যামেরা দিয়ে সূর্যগ্রহণের লাইভ স্ট্রিমিং করা হবে অনলাইনে। কোটি কোটি মানুষ এখন সেই সূর্যগ্রহণ দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সোমবার পৃথিবীর ওপর চাঁদের যে ছায়া পড়বে, তার সবচেয়ে ঘন অংশটির আয়তন হবে ৭০ মাইল চওড়া এবং আড়াই হাজার মাইল দীর্ঘ। যুক্তরাষ্ট্রের মোট ১৪টি অঙ্গরাজ্যেও ওপর পড়বে এই ছায়া। অর্থাৎ এসব জায়গা থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। যদিও আজকের সূর্যগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশে তেমন মাতামাতি চোখে পড়ছে না।

(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/জেএস)