নায়করাজের জীবনাবসান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৭, ২৩:৪৬ | প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৩০

নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন নায়করাজের ছোট ছেলে সম্রাটের বরাত দিয়ে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মহানায়ককে নেয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে ঘণ্টা খানেক পর পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন তিনি।

নায়করাজের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। তার মৃতদেহ এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে রয়েছে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তি অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

নায়করাজ রাজ্জাক প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। এই মহানায়কের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো বাংলা চলচ্চিত্রে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মোড় ঘোরানো অনেক ছবির কুশীলব-অভিনেতা নায়ক রাজ্জাক। আর এ জন্য তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘নায়করাজ’ উপাধিতে ভূষিত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পদকসহ উল্লেখযোগ্য প্রায় সব পুরস্কারই পেয়েছেন এই গুণী অভিনেতা।

নায়করাজ রাজ্জাক বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে স্থাপন করেছেন অনেক মাইলফলক। ‘অনন্ত প্রেম’ ছবি দিয়ে সূচনা করেন রোমান্টিকতার এক নতুন যুগের। ‘রংবাজ’ ছবি দিয়ে শুরু করেন অ্যাকশন ঘরানার ছবি। এর আগে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘ওরা ১১ জন’ ছবিটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে প্রথম ছবি। স্বাধীনতার আগে ভাষা আন্দোলন নিয়ে তার অভিনীত ছবি ‘জীবন থেকে নেয়া’।

ময়নামতি, অশিক্ষিত, অভিযান, নীল আকাশের নিচে, অবুঝ মন, বেঈমানসহ বহু জনপ্রিয় ছবির এই অভিনেতা তার অভিনয় প্রতিভায় ঠায় করে নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে।

১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের টালিগঞ্জে জন্ম নায়করাজ রাজ্জাকের, যার পারিবারিক নাম আবদুর রাজ্জাক। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান তিনি। প্রথম দিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।

সালাউদ্দিন প্রডাকশন্সের ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগর লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। পরবর্তীতে ‘কার বউ’, ‘ডাক বাবু’, ‘আখেরী স্টেশন’-সহ বেশ কটি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। এরপর আর তাকে পেছনর ফিরে তাকাতে হয়নি। একে এক জনপ্রিয় সব ছবি উপহার দিতে থাকেন দর্শককে।

(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/এজেড/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :