কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আটক
অসুস্থতার কারণে স্ত্রীর অনুপস্থিতকালে মানিক নামে এক অটোচালক পিতা ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া তারই কন্যাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টানা কয়েকদিন ধর্ষণ করার পর মেয়েটি ঘটনা বুঝতে পেরে প্রতিবাদ জানালে তাকে ঘরে আটকে রাখে ওই পিতা। পরে পালিয়ে গিয়ে মাকে ঘটনার কথা জানিয়ে নিস্কৃতি পায় ধর্ষিত ওই শিশু কন্যা।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত পিতা,তার দাদি ও এক চাচাসহ চারজনকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার আকচা গ্রামের মানিক অটোচার্জারের চালক হিসেবে বাড়ি ছেড়ে ঠাকুরগাঁও রোড কাজী বস্তি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। তার স্ত্রীর টনসিলের অপারেশন করা হলে চিকিৎসক তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। এ কারণে মানিকের স্ত্রী তার তিন কন্যাকে ভাড়া বাসায় রেখে পিত্রালয়ে যায়।
এদিকে স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে মানিক গত বৃহস্পতিবার রাতে বাজার থেকে ঘুমের ওষুধ এনে বড় মেয়ে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে খেতে দেয়। মেয়েটি কিসের ওষুধ জানতে চাইলে পিতা মানিক তার ঘায়ের ব্যথার ওষুধ বলে জানায়। শিশু ওই মেয়েটি গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লে অটোচালক পিতা মানিক তাকে ধর্ষণ করে।
এভাবে বৃহস্পাতিবার হতে শনিবার পর্যন্ত তিনদিন ধরে একই কায়দায় মেয়েকে ধর্ষণ করতে থাকে। প্রতিদিনই মেয়েটি ঘুমায় জামাকাপড় পড়ে, আর ঘুম ভাঙ্গে দেখে তার জামা কাপড় নেই। এতে তার সন্দেহ হলে সে তার মায়ের কাছে প্রকাশ করে দেবে বলে জানালে পিতা মানিক অটো গাড়ি চালানো বন্ধ রেখে মেয়েকে পাহারা দিতে থাকে।
রবিবার বিকালে মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে তার নানার বাড়িতে যায় এবং সকল ঘটনা মায়ের কাছে খুলে বলে।
এ ঘটনায় মেয়েকে নিয়ে তার মা ঠাকুরগাঁও সদর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ধর্ষিতার চাচা বেলাল ও দাদি মফিলা বেগমকে আটক করে। ঘটনা জানতে পেরে কন্যার পিতা মানিক গা ঢাকা দেয়। অবশেষে সোমবার ভোরে তাকে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার তার খালার বাড়ি থেকে আটক করে।
এ ঘটনায় কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মেয়ের মা বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)