শেষদিনে আসল ভিড় দেখছে কমলাপুর
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির শেষ দিনে কমলাপুরে টিকেট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শেষদিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তিল ধরনের ঠাঁই নেই টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়ে। সকালে প্রতিটি কাউন্টারের সামনেই টিকেট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন।
মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে কমলাপুর স্টেশনের ২৩টি কাউন্টার থেকে একসঙ্গে টিকেট বিক্রি শুরু হয়। এদিন দেওয়া হয়েছে ৩১ আগস্টের টিকিট।
এবার কোরবানির ঈদে তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। আগের দিন বৃহস্পতিবার হওয়ায় সেদিনের টিকেটের চাহিদাই বেশি থাকায় এই ভিড়।
টিকিট নিতে গতকাল বিকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন হাজারো টিকিট প্রত্যাশী। আবার অনেকে মধ্যরাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। ভোরের আগেই টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন পৌঁছে যায় রাস্তা অবধি। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে আঁকাবাঁকা দীর্ঘ লাইন। লাইন টার্মিনাল ভবন ছাড়িয়ে স্টেশনের প্রবেশপথ পার হয়ে গেছে।
রংপুর এক্সপ্রেসের টিকিট নিতে এসেছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রকিব। তারা তিন বন্ধু একসঙ্গে বাড়ি যাবেন বলে আগাম টিকিট নিতে এসেছেন। ঢাকাটাইমসকে আবির জানালেন, আজ ঈদের অগ্রিম টিকিট দেওয়ার শেষ দিন। আমরা তিন বন্ধু একসঙ্গে বাড়ি যাব। এজন্য গতকাল বিকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। তিন বন্ধুই পালাক্রমে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। তারপরেও এখনো শতাধিক মানুষের পেছনে রয়েছি। তবে আশা করি টিকিট পাবো।
কমলাপুর রেল স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন রংপুর এক্সপেসের আরেক টিকিট প্রত্যাশী শফিকুল। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, রাত আটটার দিকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। কাল প্রচুর থাকায় অস্থির হয়ে গেছি। সকালে বৃষ্টি হওয়ায় এখন একটু আরাম লাগছে। এতো কষ্টের পর যদি টিকিট পাই, তাহলে এমন কষ্টকে কষ্টই মনে হবে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল আটটার আগেই টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়ে কানায় কানায় ভরে যায় কমলাপুর স্টেশনের কাউন্টার। লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের অপেক্ষায় থাকা লোকজন একটু পর পরে উচ্চস্বরে আনন্দ করতে। তারা অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে গল্প জমে তুলেছেন।
তবে কোনো সমস্যা না যেন না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক তৎপর রয়েছেন।
ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এমআর