পুরো বাহিনীকে দায়ী করা যায় না: হাইকোর্ট
র্যাবের কতিপয় সদস্যদের কারণে গোটা বাহিনীকে দায়ী করা যায় না বলে মত দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার আপিলের রায়ের পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন আদালত।
বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।
এই মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২৬ জনের মধ্যে প্রধান চার আসামিসহ ১৫ জনের সর্বোচ্চ সাজা বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। অন্য ১১ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। মোট ৩৫ আসামির বাকি নয়জনের বিচারিক আদালতে দেয়া বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড বহাল রয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘র্যাব একটি এলিট ফোর্স। তাদের দায়িত্ব হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। তারা জনগণের নিরাপত্তা দেয়া ও রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনেক কাজ করেছে। কিন্তু এ বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের কারণে গোটা বাহিনীকে দায়ী করা যায় না। তারা যে অপরাধ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রাপ্য।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার সাবেক মেজর আরিফ হোসেন, র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার সাবেক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সৈনিক আল আমিন।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমে যাবজ্জীবন হয়েছে সৈনিক আসাদুজ্জামান নুর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নুর হোসেনের সহযোগী মুর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু অরফে মিজান, মো. রহম আলী, মো. আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ অরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান, জামাল উদ্দিনের।
(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এমএবি/মোআ)