অবসরের আর পাঁচ মাস বাকি মাত্র: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তার (প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) অবসরে যাওয়ার আর পাঁচ মাস বাকি। বর্তমানের তার যারা বন্ধু হয়েছেন, পাঁচ মাস পর তারা টয়লেট পেপারের মতো তাকে ছুড়ে ফেলে দেবে।’

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আমি কোনো কথা বলব না। তবে বর্তমান প্রধান বিচারপতি ১৯৯৯ সালে তিনি নিয়োগ পেয়েছিলেন। বর্তমান সরকার তাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। তার ভূমিকা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। এতো দিন চারদিকে ষড়যন্ত্র যেভাবে ছড়িয়ে ছিল, আজ নতুন যোগ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ঘাড়ে পারা দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন ষড়যন্ত্রকারীরা।’

তিনি বলেন, ‘যারাই এ জাজম্যান্ট লেখে দিয়েছেন, তারা কিন্তু তার বন্ধু নন। প্রধান বিচারপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, যদি না করেন, তবে তার আর পাঁচ মাস কয়েক দিন বাকি। তারপর তার কি হবে? সেটাই আমি ভাবি। পাঁচ মাস পর টয়লেট পেপারের মতো তাকে ছুড়ে ফেলে দেবে তারা।’

তিনি বলেন, ‘ওই ড. কামাল হোসেন, শাহদীন মালিক, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ যারা তার বন্ধু- কিন্তু তার পাশে থাকবেন না। পাঁচ মাস পর এই ব্যারিস্টার মওদুদও তার পাশে থাকবেন না। ওরা তার বন্ধু হতে পারে না। আজ তার যারা বন্ধু, তারা কোনো অবস্থায় তার বন্ধু হতে পারে না।’

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির ঘাড়ে পারা দিয়ে নষ্ট ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ১/১১ কুশীলবরা আজ সক্রিয়। তাদের সাথে সখ্য সৃষ্টি করে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উচ্চ আদালতে। আর পাঁচ মাসে তিনি আর কত অঘটন ঘাটাবেন? তবে আমি বলব, আপনারা অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকবেন। আগামীতে সুষ্ঠু সুন্দর গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আবার এই সরকার ক্ষমতা আসবে।’

বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম মুনীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মতিন খসরু, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহবায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সদস্য সচিব শেখ ফজলে নূর তাপস প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৃহত্তর ফরিদপুর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ ওবাঈদ হোসেন সেতু।

(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এমএবি/এলএ)