মেজর আরিফের গফরগাঁওয়ের বাড়িতে সুনসান নীরবতা
দেশের বহুলআলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। রায় প্রকাশ হয় মঙ্গলবার বিকালে।
এ মামলার অন্যতম আসামি গফরগাঁওয়ের মেজর আরিফ তৎসময়ে নারায়ণগঞ্জ র্যাবের অপারেশন কমান্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এই রায়ে ১৫ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অন্যতম অভিযুক্ত মেজর আরিফকেও এই মামলায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির আদেশ দেয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মেজর আরিফের ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের গ্রামের বাড়ি শিলাসীতে সুনসান নীরবতা আর কান্নার গুমট পরিবেশ বিরাজ করছে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পরিবারের সদস্যরা কেউ মুখ খুলছেন না। প্রতিবেশীরা গণমাধ্যমে রায় শোনার পর আরিফের বাড়িতে ভিড় করলেও ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। দেয়ালঘেরা বাড়ির প্রধান ফটকে তালা দেয়া থাকায় একমাত্র আত্মীয়-স্বজন ছাড়া ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
জানা গেছে, তাদের পৈতৃক বাড়ি নরসিংদী হলেও বাবা আনোয়ার হোসেনের চাকরির সুবাদে গফরগাঁও বসবাস করতেন। তার বাবার মৃত্যুর পর নরসিংদী না গিয়ে মা ও ছোট ভাইকে পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডে নানার বাড়ির সামনে দ্বিতল বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন মেজর আরিফ। এছাড়া ক্রয় করেছেন বিস্তর কৃষি জমি ও অন্যান্য ভূ-সম্পত্তি। আনোয়ার গার্ডেনের নতুন এই বাড়িতেই হয়েছিল মেজর আরিফের বিবাহত্তোর সংবর্ধনা। ছুটিতে এলে মায়ের সঙ্গে এই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। এখানেই থাকেন মেজর আরিফের মা হোসনা আরা ও একমাত্র ছোট ভাই আসিফ হোসেন। ছোট বোন আরিয়ানের বিয়ে হয়েছে নরসিংদী এলাকায়।
(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/আঞ্চলিক প্রতিনিধি/এলএ)