তিন তালাকেই সংসার ভেঙেছিল মীনা কুমারীর

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০১৭, ১০:০৬ | প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০১৭, ০৯:৪২
মীনা কুমারী ও কমল আমরোহী।

ভারতে সদ্য বাতিল হওয়া এই তিন তালাক প্রথার জেরেই বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছিল বলিউড অভিনেত্রী মীনা কুমারীর। অভিনেত্রীর স্বামী পরিচালক কমল আমরোহী তিনবার তালাক উচ্চারণ করে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটিয়েছিলেন। তিন তালাক উচ্চারণের ফলেই ‘বিয়ে’ ভেঙে গিয়েছিল বলিউডের ‘দ্যা ট্র্যাজেডি কুইন’ খ্যাত মীনা কুমারীর।

‘তামাশা’ ছবির সেটে অভিনেতা অশোক কুমার মীনা কুমারীর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন কমল আমরোহীর। এর পরই নিজের ‘আনারকলি’ ছবির জন্য মীনা কুমারীকে বেছে নেন আমরোহী। ছবির শুটিং শুরু হওয়ার আগেই একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মীনা কুমারী। তাকে হাসপাতালে দেখতে যান আমরোহী। মীনা কুমারী জানতে চান, দুর্ঘটনার পরেও তিনিই কি ‘আনারকলি’ ছবির নায়িকা? কমল আমরোহী নাকি একটি বলম দিয়ে তার হাতে লিখে দিয়েছিলেন ‘মেরি আনারকলি’, অর্থাৎ ‘আমার আনারকলি’।

১৯৫২ সালে গোপনে বিয়ে করেন দুজনে। যদিও মীনা ও আমরোহীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতির জেরেই, প্রায় ১২ বছর পর ১৯৬৪ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। তবে শোনা যায়, রাগের বশেই নাকি একদিন তিনবার তালাক বলে ফেলেছিলেন আমরোহী। যদিও পরে মীনা কুমারীকে ফিরে পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিন তালাক প্রথায় সেটি কার্যত অসম্ভব ছিল। হালালা প্রথার নিয়ম অনুযায়ী, জিনাত আমানের বাবা আমান উল্লাহ খানের সঙ্গে বিয়ে করতে হত মীনার। তার সঙ্গে পারস্পরিক সহমতে বিচ্ছেদের পর, আবার আমরোহীর সঙ্গে বিয়ে হতে পারত মীনা কুমারীর। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়েছিল কিনা জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ভারতে তিন তালাকের অবসান চেয়ে আবেদন করেছিলেন মুসলিম মহিলা ও মানবাধিকার সংগঠন। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত তিন তালাক নিয়ে ঐতিহাসিক রায় জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জেএস খেহরের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ তিন তালাক প্রথা অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/জেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :