হেফাজতে বিএনপি নেতার মৃত্যু, মামলা নেয়নি পুলিশ

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০১৭, ২০:১৭

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে বিএনপির নেতা মাসুদুল হক পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিহত মাসুদুল হক পিন্টু উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের শাবরুল গ্রামের মৃত জাহান মন্ডলের ছেলে। একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন তিনি।

শাজাহানপুর থানায় চলতি মাসে করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি মাসুদুলকে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গ্রেপ্তার করেন কৈগাড়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান।

নিহতের ভাগিনা সুমন জানান, পুকুর নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে একটি মামলায় পুলিশ তার মামা মাসুদুল হক পিন্টুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মারা যান।

অন্যদিকে কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান মারপিটের কথা অস্বীকার বলেন, মাসুদুর স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার পথে রানীর হাট এলাকায় তিনি স্ট্রোক করেন। এরপর তাকে বগুড়া মেডিকেলে ভর্তি করার পর সেখানে মারা যান তিনি।

বুধবার সকালের দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়। পরে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ময়নাতন্তের কাজ সম্পন্ন হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সবকিছু আইনি প্রক্রিয়া মেনে করা হচ্ছে। কোথাও কোনো কিছু গোপন রাখা হচ্ছে না। এ ছাড়া এ ঘটনায় পুলিশ আলাদাভাবে তদন্ত করছে। ঘটনার জন্য কেউ দায়ী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিহতের ভাগ্নে সুমন জানান, মঙ্গলবার রাতে মাসুদুল হকের মা পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করার জন্য শাজাহানপুর থানায় গেলে পুলিশ মামলাটি নেয়নি। তবে মামলায় কাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল তা জানাতে পারেননি তিনি।

সুমন আরো জানান, দুপুরের মধ্যে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারে কাছে হন্তান্তর করা হয়। এরপর আসর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

থানা মামলা না নিলেও পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করে কিছু বলা যাবে না। রিপোর্ট পেলেই মূল কাহিনী জানা যাবে।

এদিকে পুলিশ হেফাজতে বিএনপির নেতার মৃত্যুর ঘটনায় বগুড়ার সর্বত্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি বর্তমানে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :