ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত হোন: ঢাবি উপাচার্য

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০১৭, ২১:২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ‘চতুর্দিকে ষড়যন্ত্র চলছে’উল্লেখ করে বলেছেন, এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

কালো দিবস উপলক্ষে বুধবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এ কথা বলেন।

সভায় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কারা নির্যাতিত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবরসহ কারা নির্যাতিত একজন ছাত্র, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ২০০৭ সালের বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে বলেন, অন্যায়-অপকর্ম করার জন্য এদেশের মীর জাফর, খন্দকার মোশতাকরা আগস্ট মাসকেই বেছে নেয়। চলতি আগস্ট মাসেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আগস্ট মাসে আমরা শোকে মুহ্যমান থাকি ও আতঙ্কিত হই।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। সেদিন আইভি রহমানসহ ২৪জন নেতা কর্মী নিহত হন। এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মদতদাতাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে।অন্যথায় দেশে ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে।

সত্য অনুসন্ধান ও সত্য প্রকাশের জন্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল উল্লেখ করে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এখানে অসত্যের কোন জায়গা নেই। তাই উদার ও আলোকিত মন নিয়ে সমাজের অন্ধকার দূর করতে হবে।

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এরমধ্যে মধ্যে ছিল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কালোব্যাজ ধারণ এবং আলোচনা সভা।

২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখার সময় কতিপয় সেনাসদস্য ছাত্রদের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে ছাত্রসমাজ বিক্ষুদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ প্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার সান্ধ্য আইন জারি করে এবং ২৩ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক এবং আটজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালায়।

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/এস/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :