যমুনা সার কারখানা থেকে পাচারকালে ৯৯ গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১৮:১৬

জামালপুরে যমুনা সার কারখানা থেকে ভুয়া চালানে পাচারের সময় ৯৯টি তরল অ্যামুনিয়া গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ করেছে দুদক। এই ঘটনায় যমুনা সার কারখানার অ্যামুনিয়া গ্যাস সিলিন্ডার ঠিকাদারদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসেন জানান, যমুনা সার কারখানা থেকে ভুয়া চালানে তরল অ্যামুনিয়ার গ্যাস সিলিন্ডার পাচার হচ্ছে। এমন অভিযোগে চার সদস্যের একটি তদন্ত দল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে যমুনা সার কারখানায় যায়। তদন্ত দলের সদস্যরা দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে ১১৩টি অ্যামুনিয়া গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ৯৯টি জব্দ করে। এ সময় যমুনা সার কারখানার কর্মকর্তারা তদন্তকারী দলের সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা না করায় তদন্ত কাজ বিলম্বিত হয় বলে জানা গেছে।

দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বলেন, জব্দ অ্যামুনিয়া গ্যাস সিলিন্ডার কারখানা কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা করা হবে।

যমুনা সার কারখানার প্রধান ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আ.ন.ম শরিফুল আলমের কার্যালয়ে গিয়ে ভুয়া চালানে তরল অ্যামুনিয়া গ্যাস সিলিন্ডার পাচারের বিষয়টি জানতে চাইলে তা তিনি পাশ কাটিয়ে যান।

এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ভুলবশত একজনের নামের সিলিন্ডার- অন্যজনের নামে চলে গেছে।

যে আট প্রতিষ্ঠানের নামে এসব সিলিন্ডার পাচার হচ্ছিল, সেগুলো হলো তারাকান্দি ট্রাক ট্যাঙ্কলড়ি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বুশরা বাণিজ্যিক সংস্থা, তার ভাই শফিকুল ইসলামের রিক্ত এন্টারপ্রাইজ, তার বোন জামাই ফরহাদ আলীর জাহাঙ্গীর এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার আহম্মেদ নগরের সিয়াম এন্টারপ্রাইজ, মোস্তাক আহম্মেদ তালুকদারের সরিষাবাড়ি ট্রেডার্স, আরামনগর বড় বাজারের মাসুদুর রহমানের নিহা এন্টারপ্রাইজ, তারাকান্দি ট্রাক ট্যাঙ্কলড়ি মালিক সমিতির সভাপতি ও আওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেনের বি হোসেন ও পিংনা ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেনের আলমাস এন্টারপ্রাইজ।

এই তরল অ্যামুনিয়া গ্যাস সিলিন্ডার পাচারের সাথে কারখানার কয়েকজন কর্মকর্তাও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, যমুনা সার কারখানায় ১৫৪ জন তরল অ্যামুনিয়া গ্যাস ঠিকাদার রয়েছেন। কারখানা এলাকার প্রভাবশালী একটি চক্র এই ব্যবসাকে কুক্ষিগত করার জন্য তরল অ্যামুনিয়া গ্যাস সমবায় সমিতি নামে সমিতি গঠন করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তরল অ্যামুনিয়া গ্যাস সিলিন্ডিারের একাধিক ঠিকাদার বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রতিটি সিলিন্ডার ১ হাজার ৯৮০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছে। প্রতিটি সিলিন্ডারের জন্য সমিতিতে জমা নেয়া হয়। কারখানার বাইরে এই সিলিন্ডিারের দাম ৬ হাজার টাকা, ঢাকায় ১০ হাজার এবং চট্রগাম ও অন্যান্য বিভাগের ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

তারা আরও বলেন, সিন্ডিকেটে কারণে ২ হাজার টাকার সিলিন্ডার ৬ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :