রাজধানীতে দুঃসহ হয়ে উঠেছে যানজট

আশিক আহমেদ,ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট ২০১৭, ০৮:০৫

আাজিম উদ্দিন চৌধুরী তার মেয়ের রোগ পরীক্ষা করাতে ঢাকা মেডিকেল থেকে যাবেন শান্তিনগরের পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টারে। সেখানে রিকশায় যেতে তার সময়ে লেগেছে এক ঘণ্টা। ঢাকাটাইমসকে আজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রিকশায় বসে থাকতে কোমর ধরে গেছে। পথই যেন শেষ হয় না।’

খিলগাঁও থেকে মিরপুর ১৪ পর্যন্ত চলাচলকারী বাহন পরিবহনে করে শাহবাগে আসতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মতো। একই সময় লাগে মিডওয়ে বাসে খিলগাঁও থেকে শাহবাগ পর্যন্ত আসতে। ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এসব যানবাহন বাসাবো, মুগদা, মতিঝিল ঘুরে দৈনিক বাংলার মোড় হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে যায়। পথের প্রতিটি সিগন্যালে পড়তে হয় যানজটে।

প্রতিদিন যাত্রাবাড়ী থেকে হাইকোর্ট আসা একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘বাসা থেকে আমার আদালতে আসতে স্বাভাবিক সময় লাগত এক ঘণ্টার মতো। আর বাসা থেকে কোর্টে আসতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মতো।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের এক কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, রাস্তাঘাট ভাঙার কারণেই যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও প্রতিদিন নতুন গাড়ি নামছে রাস্তায় জনবহুল এই শহরে যে পরিমাণ মানুষ থাকার কথা বাস করে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তাহলে যানজট তো হবেই।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঈদের ১০ দিনের মত বাকি আছে। মানুষের চলাচল বেড়ে গেছে। মার্কেটগুলোতে চাপ বাড়ছে। কেনাকাটার জন্য মানুষ ঘর থেকে নামছে, এ কারণেও সড়কে চাপ পড়ছে। এটাও যানজটের অন্যতম কারণ।’

ঢাকায় যানজট নতুন কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। তীব্র যানজটের জন্য রাস্তাতেই একটি বড় সময় কাটাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। নির্ধারিত সময় অফিস যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রায় প্রতিটি সড়কেই একই দশা, তবে বিমানবন্দর সড়ক এবং মিরপুর রোডে পরিস্থিতি শোচনীয় আকার ধারণ করেছে। পুলিশ বলছে, মেট্রোরেলের জন্য মিরপুরের রোকেয়া সরণীতে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং রামপুরা থেকে বসুন্ধরা পর্যন্ত ডিআইটি রোডে ওয়াসার খোঁড়াখুড়ির কারণে এই দুটি পথ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের একটি বড় অংশ বিমানবন্দর সড়ক এবং মিরপুর রোড হয়ে চলাচল করছে।

আবার বৃষ্টি ও খোঁড়াখুঁড়ির কারণে নগরীর বেশ কিছু সড়কে সড়ক ভেঙে গেছে। বিশেষ করে মহাখালী থেকে সাতরাস্তা, কল্যাণপুর টেকনিক্যাল থেকে মিরপুর ১০, গাবতলী থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ডিআইডি রোডের প্রায় পুরোটা, মালিবাগ, রাজারবাজ, এলাকার পরিস্থিতি করুণ। এসব সড়কে সড়কে স্বাভাবিক গতিতে যান চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিটি সিগন্যালেই পড়ে দীর্ঘ যানজট।

এর মধ্যে কোনো একদিন বৃষ্টি নামলে তো কথাই নেই। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হওয়ায় সড়কের একাংশে পানি জমে থাকে, তার গর্তের ভয়ে ওই অংশ এড়িয়ে চলে যানবাহনগুলো।

এর পাশাপাশি যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা, প্রায় প্রতিটি মোড়কে বাসস্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলা, মূল সড়কে গাড়ি পার্কিং, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে পথচারীদের মূল সড়ক ধরে পারাপার, গণপরিবহনের অভাব থাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি ব্যবহার, রাস্তার বাম পাশ খালি রাখতে না পারাসহ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারেনি পুলিশ বা নগর কর্তৃপক্ষ।

মাসে ১০ হাজার গাড়ি বাড়াচ্ছে সমস্যা

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীতে যানজটের জন্য গণপরিবহনের অভাবকে দায়ী করে আসছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদকে জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৩১৭টি নতুন গাড়ি নামছে রাজধানীতে। এর সিংহভাই ব্যক্তিগত পরিবহন। এই গাড়িগুলো এক বা দুই জন, ক্ষেত্র বিশেষে তিন জন যাত্রী বহন করে। আর এর সম্মিলিত ফলাফল তীব্র যানজট।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বর্তমানে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে যানজট পরিস্থিতি। এই যানজট নিয়ন্ত্রণ করা বর্তমান ব্যবস্থায় কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ প্রতিদিন নতুন নতুন প্রাইভেটকার নামছে রাস্তায়, নতুন নতুন মার্কেট হচ্ছে, কিন্তু কোনো ধরনের ট্রান্সপোর্ট ফিজিবিলিটি স্টাডি হচ্ছে না। গণপরিবহন পুরোপুরি অবহেলার নাম। একে যদি সুশৃঙ্খল করা যেত তাহলে অনেকটাই যানজট থেকে রেহাই মিলত।’

অটো সিগন্যালিং চালুর উদ্যোগ এবং যানজট

২০১৫ সালে হঠাৎ করে সিটি করপোরেশন পুলিশের হাতের সিগন্যালিং এর বদলে চালু করে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। কিন্তু এই ব্যবস্থা চালুর পর রাজধানীতে ভজঘট লেগে যায়। সে সময় কথা উঠে পুলিশ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু হোক তা চায় না।

ওই সময় ব্যর্থ হলেও সিটি করপোরেশন আবারও রাজধানীতে চারটি পয়েন্টে পাইলট প্রকল্প হিসেবে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক যানজটের একটি বড় অংশই এই চারটি পয়েন্টে হচ্ছে।

পয়েন্টগুলো হলো, মহাখালী, গুলশান-১, বাংলামোটর এবং রূপসী বাংলা মোড়।

সাম্প্রতিক যানজটের সঙ্গে অটো সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালুর কোনো সম্পর্ক আছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (দক্ষিণ) এর ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এটার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা করছে সিটি করপোরেশন।’

এই কর্মকর্তা স্বীকার না করলেও দুই বছর আগে অটো সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালুর পর পুলিশ এই ব্যবস্থা চালু না করার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দিয়েছিল।

কোনো একটি রাস্তা বেশিক্ষণ আটকে রেখে কারও চলাচলের জন্য খোলা রাখলেও এর রেশ থেকে যায় দীর্ঘক্ষণ। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপিদের চলাচলের জন্য রাস্তা বন্ধ রাখতে হয়। কিন্তু এর বাইরেও পুলিশ তার বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তার জন্য প্রায়ই রাস্তা বন্ধ রেখে তাদের চলাচলের পথ খুলে রাখে। প্রতিদিনই এই ঘটনাটি ঘটে, কিন্তু সেটি গণমাধ্যমের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যায়।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার আবদুর রাজ্জাক ঢাকাটাইমসকে বলেন, বর্তমানে বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানের রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে। ফলে যানবাহনের গতি কমে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের পশ্চিম বিভাগের উপ কমিশনার লিটন কুমার রায় বলেন, স্বাভাবিকভাবে যানজটকে নিয়ন্ত্রণেই রেখেছি আমরা। তবে অতিবৃষ্টির কারণেই কিছুটা যানজট বেড়েছে। এছাড়া স্বাভাবিক রয়েছে আমার এলাকার যানজটের পরিস্থিতি।

কর্তৃপক্ষের ঘোষণা আছে, বাস্তবায়ন নেই

দুই বছর আগে দায়িত্ব নেয়ার পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র আনিসুল হক বিশৃঙ্খলভাবে চলাচলকারী বাসগুলোকে কোম্পানির অধীনে এনে উন্নত বিশ্বের মতো ব্যবস্থা সাজানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এর কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।

বছর দুয়েক আগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসানের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে অভিনব এক কৌশল। ইংরেজি বর্ণ ‘ইউ’য়ের মতো দেখতে এই পদ্ধতিকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ‘ইউলুপ’।

চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থীর উদ্ভাবনের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও একাধিকবার চিঠি এসেছে, জানতে চাওয়া হয় তার উদ্ভাবন সম্পর্কে।

এরপর ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক টঙ্গী থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত বেশ কিছু ইউলুপ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি সুনির্দিষ্ট সময় সীমার কথাও উল্লেখ করেছেন একাধিকবার। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই কাজের কোনো দৃষ্টিগ্রাহ্য অগ্রগতি হয়নি।

আবার ঢাকার যানজট নিরসনে অতীতেও বেশকিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। যার সিংহভাগই আছে বাস্তবায়নের বাইরে। শুধু পরিকল্পনা পর্যন্তই। এমনই একটি আন্ডারপাস নির্মাণ। ঢাকায় যেসব এলাকায় গাড়ির চাপ বেশি থাকে কিংবা গন্তব্যে যাওয়ার জন্য গাড়ির দিক পরিবর্তন করতে হয় সেসব জায়গায় আন্ডারপাস নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতার বেড়াজালে আটকে গেলে এই প্রকল্প।

রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে আটটি আন্ডারপাস ও দুটি ইউটার্ন নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিয়ে ৬৪০ কোটি টাকা। প্রতিটি আন্ডারপাস নির্মাণে ব্যয় হবে ৬৪ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত প্রকল্পের অধীনে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, ৭ নম্বর, ২ নম্বর, রাসেল স্কয়ার, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নীলক্ষেত, ফকিরাপুল ও রাজারবাগ-শাহজাহানপুরের ইন্টারসেকশনে ভেহিকুলার আন্ডারপাস এবং মিরপুর রোডের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মানিক মিয়া এভিনিউ ইন্টারসেকশনে ইউটার্ন নির্মাণ করা হবে। এগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর দ্বিতীয় দফায় পল্টন, এফডিসির পাশের রেলক্রসিং, বনানীর স্টাফ রোড রেলক্রসিং, মালিবাগ রেলক্রসিং, আগারগাঁও, গুলশান-২ গোল চত্বর, গ্রিন রোড-পান্থপথ ক্রসিং, তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো মোড় এবং কাঁটাবন-এলিফ্যান্ট রোড ক্রসিং এ ১১টি আন্ডারপাস নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার পরই সেটি ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেটর অথরিটির (ডিটিসিএ) কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এখনো এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি নেই। প্রকল্পটি ডিটিসিএর সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

অনেক সমস্যার সমাধান দেবে মেট্রোরেল

যানজট নিরসনে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম মেট্রোরেল। গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনা চলছে এ নিয়ে। প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা আছে ২০১৯ সালের শেষের দিকে আংশিক চালু হবে এই রেল। আর পুরোপুরি চালু হবে ২০২১ সালের মধ্যে।

এই রেল চালু হলে রেলটি প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। সরকারের আশা এই প্রকল্পটি চালু হলে উত্তরা থেকে মিরপুর-ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যানজট অনেকটাই কমে আসবে। তবে মতিঝিল থেকেও নগরীর উত্তর অংশে প্রকল্পটি আরও বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে।

এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে কবে

এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে ধারণাটি উন্নত বিশ্বের। কম সময়ে যাতায়াতের জন্য এটি কার্যকর একটি পরিবহন। যানজটে নাকাল নগরবাসীকে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। বিমানবন্দর এলাকা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এই উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে দুই দফা। তবে কাজ কবে শেষ হবে তা বলতে পারছেন না কেউ। যদিও প্রকল্পের সর্বশেষ নথিপত্রে বলা হয়েছে ২০১৮ সালের জুনে এই সড়কটি ব্যবহার করতে পারবে নগরবাসী।

পুলিশের দৃষ্টিতে ১৯ কারণে যানজট

বছর দুয়েক আগে যানজট নিরসনে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদনে যানজটের ১৯টি কারণ বলা হয়েছে। অপ্রশস্ত রাস্তা, যত্রতত্র রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে হাট-বাজার, অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, দোকানপাট বসানো, রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রাখা, আবাসিক ও বাণিজ্যিক বহুতল ভবনে কার পার্কিং না থাকা, পার্কিং থাকলেও বন্ধ রাখা, রাস্তায় যত্রতত্র বাস, মিনিবাস ও অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করা যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ, ঢাকা সিটি করপোরেশন,রাজউকসহ সরকারি অন্য সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয়হীনতাকেও দায়ী করা হয়েছে।

কিন্তু এই সুপারিশেরও বাস্তবায়নে অগ্রগতি নেই বললেই চলে।

ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/এএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :