সকালে নাস্তা কেন খাবেন?

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০১৭, ১২:৩৮

সকালে ঘুম থেকে নাস্তা খেতে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেন। কিন্তু সকালে নাস্তা না করলে শরীরের নানা সমস্যা দেখা দেয়৷ কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন কখনো কখনো সকালের নাস্তা স্বাস্থ্য ভঙের কারনও হয়ে দাঁড়ায়। তাই বলে কি সকালের জানা নাস্তা খাবেন না!

যারা ওজন কমাতে চান

যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য জার্মানির খাদ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ইয়োহানেস অ্যার্ডমানের পরামর্শ অনেকটা বায়োকেমিস্ট টেরেন্স কেলির মতো৷ অর্থাৎ তাঁর কথায়, ওজন কমাতে চাই, সকালে নাস্তা না করলেও হবে৷ তবে দুপুরে হালকা খাবার খাওয়ার খেতেই হবে৷ এছাড়া ওজন কমাতে আগ্রহীদের প্রধান খাবারগুলোর মাঝখানে টুকিটাকি খাবার, বিশেষ করে ‘জাঙ্ক ফুড’ বাদ দিতে হবে৷

প্ল্যানে ‘গুড়ে বালি’

ওজন কমাতে চাইলে অনেকেই সকালে নাস্তা করেন না৷ ফলে দেখা যায় যে, তাদের দুপুরে প্রচণ্ড খিদে পায়৷ তখন তাঁরা পরিমাণে অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন৷ অর্থাৎ তাঁদের স্লিম হওয়ার প্ল্যানে গুড়ে বালি৷

সকালে কি মিষ্টি খান? শরীরে শক্তি যোগায় বলে অনেকেই সকালে মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন৷ আসলে মিষ্টি খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে ঠিকই, তবে কিন্তু তা কিছুক্ষণের জন্য৷ তাই শরীরে শক্তি পেতে মিষ্টির বিকল্প হিসেবে সাদা দইয়ের সাথে খনিকটা তাজা ফল খেতে পারেন৷ আর মিষ্টি প্রেমীরা মন খারাপ না করে বরং মিষ্টিটা সপ্তাহান্তে পরিবারের সকলের সাথে খাবেন৷ তাহলে দেখবেন শর্করা বা ওজন বাড়ার সমস্যায় পড়তে হবে না৷

মচমচে কর্নফ্লেক্স ও বিভিন্ন বীজ স্বাস্থ্যসম্মত সকালের নাস্তা হচ্ছে – দুধ বা দইয়ের সাথে মচমচে কর্নফ্লেক্স, বিভিন্ন বিচি, অর্থাৎ সূর্যমুখী ফুলের বিচি, মিষ্টি কুমড়োর বিচি, কাঠ বাদাম, তিসি, তিল ও তার সঙ্গে তাজা ফল৷ ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশসহ এই নাস্তা যেমন পেট ভরাবে, তেমনি সুস্থও রাখবে৷ অথচ দেখবেন ওজনটা বাড়াবে না৷

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মানুষ যেমন আলাদা, তেমনি তাদের পেট বা অন্ত্রও আলাদা৷ অর্থাৎ একজনের শরীরের জন্য যে খাবার অত্যন্ত জরুরি, সে খাবার অন্যের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে৷ অথবা দেখা দিতে পারে মারাত্মক অ্যালার্জি৷ তাই মনে রাখতে হবে যে, ‘সব খাবার সবার জন্য নয়৷’

যে দেশের যে নিয়ম গরম দেশে সকালের নাস্তা হয় একরকম, আবার শীতের দেশের মানুষ অন্যরকম খাবার খান৷ তাই খাবারের ব্যাপারে আবহাওয়া, বয়স, দেশ, পরিবেশ, স্বাস্থ্যের অবস্থা ইত্যাদিও মাথায় রাখতে হবে৷ তা সে সকালের নাস্তা হোক বা অন্যান্য বেলার খাবার৷

কফি বা চা যদি কেউ সকালে নাস্তা না করেই ভালো বোধ করেন কিংবা শুধু কফি বা চা-ই যদি তার জন্য যথেষ্ট হয়, তাহলে তাঁর আর জোর করে নাস্তা খাওয়ার তেমন প্রয়োজন নেই৷ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ইয়োহানেস অ্যার্ডমান৷

বাড়ন্ত বয়সে নাস্তা বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে সকালের নাস্তার বিষয়টি আলাদা৷ পেট একেবারে খালি রাখলে বা কিছু না খেলে স্কুলে বা লেখাপড়ায় শিশুদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে৷ সেক্ষেত্রে শিশুদের শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সকালের নাস্তা নির্বাচন করা উচিত৷ তবে যে শিশু স্কুলে যাওয়ার আগে দুধ খেতে চায় না, তাকে জোর না করাই ভালো৷

ডায়াবেটিক রোগীদের ‘যে সকালে নাস্তা করে, সে তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে’৷ অবাক হচ্ছেন? এমনটাই কিন্তু জানাচ্ছেন ব্রিটিশ বায়োকেমিস্ট টেরেন্স কেলি৷ তাঁর মতে, সকালে নাস্তা খাওয়ার পরই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, তাই নাস্তা না করাই ভালো৷ বলা বাহুল্য, কেলি একজন ডায়েবেটিস রোগী৷ অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন যাঁরা ডায়াবেটিক বা যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের সকালে নাস্তা না করা ভালো৷

(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :